Posts

Showing posts from September, 2023

কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার জন্য জীববৈচিত্র

Image
জৈববৈচিত্র-  কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের অপরিহার্য উপাদান জীববৈচিত্র কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জীববৈচিত্র বলতে বিভিন্ন জিনগত, প্রজাতিগত এবং পরিবেশগত স্তরে জীবনের বৈচিত্রকে বোঝায়। এই বৈচিত্র খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন এবং কৃষির অপরিহার্য উপাদান। সম্প্রতি কুনমিং-মন্ট্রিওল গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি হয়েছে তাতে অর্ধেকেরও বেশি লক্ষ্য সরাসরি কৃষি-খাদ্য খাতের সাথে যুক্ত। এই ফ্রেমওয়ার্কে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বা এফএওকে ইকোসিস্টেম বা বাস্তু সংস্থানের পুনরুদ্ধার, মাছের মজুত, টেকসই কৃষি, দায়িত্বশীল বন ব্যবস্থাপনা মত চারটি মূল সূচকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর - ২৩, ২৯-২১, কৃষি, জৈববৈচিত্র

অলাভজনক সংস্থাঃ কিছু তথ্য, কিছু প্রশ্ন

Image
বাইজুসহ ৭০টি ভারতীয় স্টার্ট-আপ ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে ১৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল— তার প্রভার অর্থনীতিতে কী ভয়ঙ্কর হচ্ছে, তা নিয়ে লেখায়, খবরে ভরে গিয়েছিল সংবাদ মাধ্যমগুলি। কিন্তু ১০০টিরও বেশি অলাভজনক সংস্থা— যার গত সাত মাসের মধ্যে তাদের এফসিআরএ লাইসেন্স হারিয়েছে— তাদের নিয়ে কোনো আলোচনাই নেই৷ এরকমই একটি সংস্থা কেয়ার, যারা ভারতে আইসিডিএস সেন্টারের ধারণা প্রসারের কাজ শুরু করেছিল যা পরবর্তিতে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে গর্ভবতী মা ও শিশুদের পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বড় পরিবর্তন দেখা গেছিল। কিন্তু সেই সংস্থার লাইসেন্স বাতিলের ফলে প্রায় ৪ হাজার লোক কাজ হারিয়েছে। দেশের জিডিপির ২ শতাংশ আসে অলাভজনক সংস্থাগুলির মাধ্যমে। এদের অধিকাংশ কর্মী ছোট শহর ও গ্রামে নিযুক্ত। সর্বোপরি, লক্ষ লক্ষ দুর্বল পরিবারের জন্য যারা কাজ করে। পরিসংখ্যান ও কর্মসূচী বাস্তবায়ন (MoSPI) মন্ত্রকের ২০১২ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, এই ধরনের নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলিতে ২৭ লক্ষ লোক চাকরি করে। আর ৩৪ লক্ষ লোক পূর্ণ সময়ের স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়া রয়েছে আংশিক সময়ের স্বেচ্ছাসেবকদের কাজ। অলাভজনক সংস্থাগুলি সরকারের তুলনায় বেশি কর্মস

চরম আবহাওয়ায় বাড়ছে খিদে

Image
চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলিও বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার বিস্তারের একটি প্রধান উপাদান চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলিও বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার বিস্তারের একটি প্রধান উপাদান। রাষ্ট্রসংঘের অনুমান, ২০৩০ সালে আরো প্রায় ৬৭ কোটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার হতে পারে। ইউনাইটেড ইন সায়েন্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেল বা আইপিসিসি বিশ্লেষণেও দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং চরম আবহাওয়ার ঘটনা খারাপ স্বাস্থ্য এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াবে। প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, চরম আবহাওয়ার জন্য, বিভিন্ন মহামারি যেমন ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর মতো জলবায়ু-সংবেদনশীল রোগগুলির প্রাদুর্ভাব বাড়বে। রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা ডব্লিউএমও-র একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, ১৯৭০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে জলবায়ু বদলের জন্য প্রায় ১২ হাজারটি চরম বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। যার জন্য ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এসব ঘটনার বেশিরভাগই ঘটেছে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে। সেপ্টেম্বর - ২৩, ২৯-২৩, ক্ষুধা, জলবায়ু বদল

দূর অস্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন

Image
জলবায়ু বদল রোখার লক্ষ্যে ধীর গতির কারণে দারিদ্র্য, খাদ্য ঘাটতি এবং মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা ডব্লুএমও‘র প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু বদল রোখার লক্ষ্যে ধীর গতির কারণে দারিদ্র্য, খাদ্য ঘাটতি এবং মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াই স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে রেকর্ড তাপমাত্রা এবং চরম আবহাওয়া বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বিপর্যয় ডেকে আনছে। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জন করার জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি স্থির করেছিল। তার মাত্র ১৫ শতাংশ বিভিন্ন দেশের উদ্যোগে অর্জন করা গেছে। হাতে রয়েছে মাত্র ৭ বছর। ডব্লুএমও‘র মতে, বর্তমান নীতির কারণে, এই শতাব্দীতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প সভ্যতার সময় যে তাপমাত্রা ছিল তার থেকে কমপক্ষে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্যারিস চুক্তিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখার কথা বলা হয়েছিল। এর জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে। এছাড়াও, কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন ২০৫০ সা

বর্জ্য জল থেকে জ্বালানি, সেচ, সার…

Image
বর্জ্য জলের মাধ্যমে প্রায় ৫০ কোটি মানুষকে বিকল্প জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব বিশ্বব্যাপী, ৫০ শতাংশ অপরিশোধিত বর্জ্য জল নদী, হ্রদ এবং মহাসাগরগুলিতে প্রবেশ করে এবং এটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের জন্যও দায়ী। বিশেষজ্ঞরা মনে করে, সঠিক নীতি নিলে বর্জ্য জলের মাধ্যমে প্রায় ৫০ কোটি মানুষকে বিকল্প জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব। রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনএপি’র) মেরিন অ্যান্ড ফ্রেশ ওয়াটার অ্যাফেয়ার্স বিভাগের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরিষ্কার জল, শক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির বিকল্প উত্স হিসাবে বর্জ্য জল ব্যবহারের সময় এসেছে। এই রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি এবং প্ল্যাটফর্ম ফর গ্লোবাল ওয়েস্টওয়াটার ইনিশিয়েটিভ, বিশ্ব জল সপ্তাহে এই রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে। এতে জলবায়ু বদলের থেকে যে উদ্বেগ জনমানসে তৈরি হয়েছে তা সমাধানের দিকে যাওয়া যাবে বলেও রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে। রিপোর্টিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্জ্য জল থেকে বায়োগ্যাস, তাপ এবং বিদ্যুৎ তৈরি করা যেতে পারে, যদি তার জন্য উপযুক্ত বর্জ্য জল ব্যবস্থা দেশগুলি তৈরি করতে পারে। এর থেকে পাওয়া নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাসিয

মারণ খাবার

Image
গত ১০ বছরে অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিক্রি প্রচুর বেড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি ভারতে অতি-প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রীর বাজার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংকলন করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের জন্য সংস্থাটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর রিসার্চ অন ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক রিলেশনের সাথে কাজ করেছে। প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, গত ১০ বছরে এই সমস্ত অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিক্রি প্রচুর বেড়েছে। মাঝে কোভিড এর জন্য এগুলির চাহিদা কমলেও বর্তমানে তা প্রচুর বেড়েছে। অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া কখনই ভালো নয়। এই সব খাবার এমন সব উপাদান দিয়ে তৈরি হয়, যার থেকে ওবেসিটি বা মানুষের মোটা হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এছাড়া লিভারের রোগ সহ অন্যান্য রোগ বাড়ছে। বাড়ছে ডায়াবেটিক মানুষও। উপাদানগুলির তালিকায় রয়েছে কৃত্রিম মিষ্টি, রঙ এবং আরো অনেক কিছু যা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনি এবং চকোলেট ব্যবহার করে তৈরি মিষ্টিগুলি চাহিদা ২০৩২ সাল অবধি আরো বাড়বে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকবে বিভিন্ন নোনতা খাবারও। এই ধরনের প্রবণতা রোধ করতে বিশ্ব স্বাস্থ

খরিফে বিভিন্ন ফসলে চাষ

Image
কৃষি গত বছর খরিফ মরশুমের তুলনায় এবছর ডাল চাষ কমেছে  কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতর এ বছর খরিফ শস্যের বীজ বপন সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেছে। এই তথ্য অনুযায়ী ধানের বীজ বোনা হয়েছে ৪ কোটি ৩ লক্ষ ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছর এই সময়ে ৩ কোটি ৯২ লক্ষ ৮১ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের বীজ বপন করা হয়েছিল। এ বছর ১ কোটি ১৯ লক্ষ ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে ডাল শস্যের বীজ বোনার কাজ শেষ হয়েছে। গত বছর ১ কোটি ৩১ লক্ষ ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে ডাল চাষ হয়। শ্রীঅন্ন অর্থাৎ বিভিন্ন মিলেটের জন্য ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৮২ লক্ষ ২১ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ শুরু হয়েছে। গত বছর ১ কোটি ৮১ লক্ষ ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে মোটা দানা শস্যের চাষ হয়। এ বছর ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৪৯ হাজার হেক্টর জমিতে তেলবীজ বপন করা হয়েছে। গত বছর ১ কোটি ৯৩ লক্ষ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে তেলবীজের চাষ হয়। এ বছর ৫৯ লক্ষ ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে আখ চাষ হচ্ছে। গত বছর ৫৫ লক্ষ ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছিল। পাট ও মেস্তা চাষের জন্য এ বছর ৬ লক্ষ ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে বীজ বোনা হয়েছে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার হেক্টর জমি। এ বছর ১ কোটি ২৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে কাপাস তুলোর চাষ শ