Posts

Showing posts from March, 2023

সুস্বাস্থ্যে বেল

Image
সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত বেল খান   গরমের সময়ের একটি উপকারী ফল হলো বেল। যারা হজমের সমস্যা, পেটে গ্যাস জমে থাকাসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন যারা, তারা প্রতিদিন বেল খেতে পারেন। রোজ বেলে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা পেটে ঘা বা আলসার হয়। এই সমস্যা সমাধানে সপ্তাহে তিনদিন করে বেলের শরবত খাওয়া যায়। এছাড়া বেলের পাতা ভিজিয়ে সেই জল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত খেতে পারেন বেল। এক্ষেত্রে বেল বিশেষ উপকারী। এতে থাকে মেথানল যা ব্লাড সুগার কমায়। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবত না খেয়ে শুধু বেল খেলে ভালো হয়। গেঁটে বাত বা আর্থ্রারাইটিসের সমস্যায় শরীরের বিভিন্ন জোড়ে ব্যথা হয়। নিয়মিত বেল খেলে জোড়ের ব্যথা অনেকটাই কমে। বেল খুব ভালো শক্তিবর্ধক। ১০০ গ্রাম বেল থেকে পাবেন ১৪০ ক্যালোরি শক্তি। বেল দ্রুত হজমেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে ২-৩ বার বেল খাওয়া ভালো। তবে প্রত্যেকের শরীর ও সমস্যা আলাদা। তাই কোনো খাবার এক জনের জন্য উপকারী হলেও অন্য কারও শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কাজেই যে কোনো খাবার ওষুধ বা পথ্য হিসাবে খেতে হলে বিশেষজ্ঞদের পরাম

সমবায়ের প্রসার

Image
সমবায় আন্দোলনকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দিতে হবেঃ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা  সমবায় আন্দোলনকে একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাকে শক্তিশালী করার কর্মসূচি অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। এই কর্মসূচিতে, দেশের প্রতিটি পঞ্চায়েতে প্রাথমিক কৃষি ঋণদান সমিতি (প্রাইমারি এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট সোসাইটি বা প্যাক্স) গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সমবায়গুলি মাছ চাষি, পশুপালক এবং দুধ ও মাংস উৎপাদকদের সহায়ক হবে বলে মনে করছে মন্ত্রীসভা। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, আগামী ৫ বছরে এ ধরনের ২ লক্ষ সমিতি গড়ে তোলা হবে। উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলির পঞ্চায়েত এবং যেসব গ্রামে বড় বড় জলাশয় রয়েছে, সেখানে মাছ পালনে সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলি সহায়তা করবে। নাবার্ড, ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (এনডিডিবি) এবং ন্যাশনাল ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (এনএফডিবি) এই কাজে আর্থিক সাহায্য করবে। এর ফলে, সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলির সদস্যরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন। যেসব গ্রামে প্রাথমিক সমবায় সমিতিগুলি সক্রিয় নয়, অথচ তাদের পুনর্গঠনও করা যাচ্ছে না, সেখানে নতুন সমবায় সমিতি গঠন করা হবে। মন্ত্রীসভা মনে করে, সমবায় আন্দোলন জোরদার

শ্রীঅন্নের মা লহরি বাঈ

Image
মধ্যপ্রদেশের লহরি বাঈ তার নিজের খরচে ১৫০টি স্থানীয় জাতের মিলেট বা ‘শ্রীঅন্ন’ সংরক্ষণ করছেন মধ্যপ্রদেশের অমরকন্টক শহরের কাছে ডিন্ডোরি জেলা। এই জেলায় রয়েছে প্রচুর জঙ্গল। আর এই জঙ্গলের মধ্যে এবং আশেপাশে বাস করে আদিবাসীরা। জঙ্গলময় শিলপিডি এরকমই একটি গ্রাম। নর্মদা নদীর উৎস হিসেবেও পরিচিত এই গ্রাম। এখানে বাস করে বৈগা আদিবাসীরা। সেরকমই একটি বৈগা আদিবাসী পরিবারের কর্ত্রী লহরি বাঈ। তিনি জি-টোয়েন্টি সামিটে কৃষি মন্ত্রকের দূত নির্বাচিত হয়েছেন।  লহরি বাঈ তার নিজের খরচে ১৫০টি স্থানীয় জাতের মিলেট বা ‘শ্রীঅন্ন’ সংরক্ষণ করছেন। শুধু সংরক্ষণ নয়, ২৭ বছর বয়সী লহরি বাঈ বিভিন্ন মিলেটের বীজ আশেপাশের ২৫টি গ্রামে বিতরণও করেন। গত ১০ বছর ধরে তিনি মিলেটের বীজ সংগ্রহ করে চলেছেন। নিজের কুড়ে ঘরে মাটির হাঁড়িতে এই বীজ সংরক্ষণ করেন। তাঁর বক্তব্য, সবুজ বিপ্লবের চাষের ফলে তাঁদের আসল খাদ্য ‘শ্রী অন্ন’ শেষ হয়ে যাচ্ছে। জোর করেই তাদের এই খাদ্য পরম্পরাকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে— এটা মেনে নিতে পারেননি। শ্রী অন্নকে রক্ষা করা তাই তাঁর জীবনের ব্রত। তিনি এই বীজগুলি চাষিদের দেন। যেসব চাষিদের ফলন ভালো হয়, তাদের থেকে নতুন বীজ নিয়ে তি

চাল, গম, চিনির জন্য বহাল পাটের বস্তা

Image
চাল, গম ও চিনি প্যাকেটজাত করার ক্ষেত্রে পাটের বস্তার ব্যবহার বহাল ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে চাল, গম ও চিনি প্যাকেটজাত করার ক্ষেত্রে পাটের বস্তার বাধ্যতামূলক ব্যবহার বহাল রাখার অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই নিয়ম অনুসারে খাদ্যশস্য প্যাকেজিং–এর ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ এবং চিনির ক্ষেত্রে ২০ ভাগ পাটের ব্যাগ ব্যবহার যেমন বাধ্যতামূলক হবে, আর এই অনুমতির ফলে বিশেষভাবে লাভবান হবে পশ্চিমবঙ্গ। জাতীয় অর্থনীতিতে পাট শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ৭৫টি পাট কলে কর্মরত কয়েক লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীর রুজি-রোজগার এই শিল্পটির সঙ্গে যুক্ত। শুধু তাই নয়, প্রায় ৪০ লক্ষ পরিবারের অন্ন সংস্থান হয় এই শিল্পটি কেন্দ্র করে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিহার, ওডিশা, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার পাট শিল্পও এজন্য উপকৃত হবে। পাটের ব্যাগের বাধ্যতামূলক ব্যবহার দেশের কাঁচা পাটের উৎপাদনকে চাঙ্গা করবে বলে মনে করছে মন্ত্রীসভা। এতে অর্থনীতির সঙ্গে পরিবেশও কিছুটা দূষণমুক্ত হবে। মার্চ - ২৩, ২৮-৫২, পাটশিল্প, দূষণ নিয়ন্ত্রণ

জলবায়ু বদল নিয়ে ভণ্ডামি

Image
বিমান থেকে প্রচুর গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়। কিন্তু পরিবেশ সম্মেলনেগুলি হয় বিমানময় গত নভেম্বর মাসে জলবায়ুর পরিবর্তন রোধে মিশরে যে কপ-২৭ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। বিশ্বের তাবড় নেতা মন্ত্রীরা যোগ দিলেন এই সম্মেলনে। তারা সবাই বিমানে চেপে এসেছিলেন। আপনারা জানেন বিমান থেকে প্রচুর গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বায়ুমণ্ডল উতপ্ত হয়ে ওঠার জন্য দায়ী। ফ্লাইট রাডার টোয়েন্টি ফোর ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত তথ্যে দেখা যায়, সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে ৪ থেকে ৬ নভেম্বর ৩৬টি ব্যক্তিগত বিমান মিশরের শার্ম আল শেখ শহরে অবতরণ করেছে, এখানেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। এই শহর থেকে আবার ৬৪টি বিমান উড়ে গেছে কায়রোতে। এসব বিমানগুলি যাতায়াত করেছে যুক্তরাজ্য, ইটালি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে। বলা হচ্ছে সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে, বিশ্বের ৪০টিরও বেশি বিমানবন্দর থেকে ব্যক্তিগত বিমান মিশরে গেছে। ফ্লাইট রাডার টোয়েন্টি ফোর বলছে হয়তো এর চেয়েও আরো বেশি ব্যক্তিগত বিমান মিশরে গেছে যা তারা চিহ্নিত করতে পারেনি। মার্চ - ২৩, ২৮-৫১, জলবায়ু বদল, দূষণ

জলবায়ু বদল ও ন্যায়ের প্রশ্ন

Image
জলবায়ু বদল যে দ্রুত হচ্ছে এটা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। অস্বীকার করা যাচ্ছে না যে, এর জন্য বাজার অর্থনীতি এবং তার কারিগর কর্পোরেটগুলি দায়ী লিখছেন সুব্রত কুণ্ডু এই যে বড় বড় পরিবেশ সম্মেলন হচ্ছে তার পৃষ্ঠপোষক কারা? মানে কারা টাকা জোগাচ্ছে? জানেন? ধরুন জলবায়ু বদল নিয়ে গ্লাসগোর (কনফারেন্স অব পার্টিস বা কপ-২৬) সম্মেলন। টাকা দিলো কারা— মাইক্রোসফট, ইউনিলিভার, হিটাচি, গ্ল্যাক্সো-স্মিথক্লাইন, জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার এবং আইকিয়ার মতো প্রায় ডজন খানেক দৈত্যাকার কোম্পানি— যাদের আমরা কর্পোরেট বলে জানি। তারপর হল কপ-২৭। ২০২২-এর নভেম্বরে। মিশরের শার্ম আল শেখ শহরে। এখানে টাকা দিল ১৮টি কোম্পানি। কোকাকোলা, সিমেন্স, আইবিএম, গুগুল, সোডিক, সিসকো, এর মধ্যে কয়েকটি নাম। প্রতি সম্মেলনেই একটি করে গ্রিন কর্নার থাকে। যেখানে পৃথিবী বাঁচাতে বিভিন্ন নতুন নতুন প্রযুক্তি, ব্যবস্থা, সম্ভাবনার প্রদর্শনী করে এই কর্পোরেটগুলি। কর্নার বললেও, পরিবেশ সম্মেলনগুলির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই জায়গাটি। এতো ভালো কথা! সবাই মিলে উদ্যোগ নিলে তবেই তো আমরা জলবায়ু বদল রুখে দিতে পারব। কিন্তু এত ভালোও কি ভালো? মুনাফাবাজ কর্পোরেটদের ধান্দাটা