শ্রীঅন্নের মা লহরি বাঈ
মধ্যপ্রদেশের অমরকন্টক শহরের কাছে ডিন্ডোরি জেলা। এই জেলায় রয়েছে প্রচুর জঙ্গল। আর এই জঙ্গলের মধ্যে এবং আশেপাশে বাস করে আদিবাসীরা। জঙ্গলময় শিলপিডি এরকমই একটি গ্রাম। নর্মদা নদীর উৎস হিসেবেও পরিচিত এই গ্রাম। এখানে বাস করে বৈগা আদিবাসীরা। সেরকমই একটি বৈগা আদিবাসী পরিবারের কর্ত্রী লহরি বাঈ। তিনি জি-টোয়েন্টি সামিটে কৃষি মন্ত্রকের দূত নির্বাচিত হয়েছেন। লহরি বাঈ তার নিজের খরচে ১৫০টি স্থানীয় জাতের মিলেট বা ‘শ্রীঅন্ন’ সংরক্ষণ করছেন। শুধু সংরক্ষণ নয়, ২৭ বছর বয়সী লহরি বাঈ বিভিন্ন মিলেটের বীজ আশেপাশের ২৫টি গ্রামে বিতরণও করেন। গত ১০ বছর ধরে তিনি মিলেটের বীজ সংগ্রহ করে চলেছেন। নিজের কুড়ে ঘরে মাটির হাঁড়িতে এই বীজ সংরক্ষণ করেন। তাঁর বক্তব্য, সবুজ বিপ্লবের চাষের ফলে তাঁদের আসল খাদ্য ‘শ্রী অন্ন’ শেষ হয়ে যাচ্ছে। জোর করেই তাদের এই খাদ্য পরম্পরাকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে— এটা মেনে নিতে পারেননি। শ্রী অন্নকে রক্ষা করা তাই তাঁর জীবনের ব্রত। তিনি এই বীজগুলি চাষিদের দেন। যেসব চাষিদের ফলন ভালো হয়, তাদের থেকে নতুন বীজ নিয়ে তিনি পরের বছরের জন্য সংরক্ষণ করে রাখেন। এর সঙ্গে তিনি নিজেও ছোট ছোট জমিতে প্রত্যেকটি জাতের মিলেট চাষ করেন।
মার্চ - ২৩, ২৮-৫৩, মিলেট, সংরক্ষণ
Comments
Post a Comment