সমবায়ের প্রসার

সমবায় আন্দোলনকে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দিতে হবেঃ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা 


সমবায় আন্দোলনকে একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাকে শক্তিশালী করার কর্মসূচি অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। এই কর্মসূচিতে, দেশের প্রতিটি পঞ্চায়েতে প্রাথমিক কৃষি ঋণদান সমিতি (প্রাইমারি এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট সোসাইটি বা প্যাক্স) গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সমবায়গুলি মাছ চাষি, পশুপালক এবং দুধ ও মাংস উৎপাদকদের সহায়ক হবে বলে মনে করছে মন্ত্রীসভা। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, আগামী ৫ বছরে এ ধরনের ২ লক্ষ সমিতি গড়ে তোলা হবে। উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলির পঞ্চায়েত এবং যেসব গ্রামে বড় বড় জলাশয় রয়েছে, সেখানে মাছ পালনে সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলি সহায়তা করবে। নাবার্ড, ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (এনডিডিবি) এবং ন্যাশনাল ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (এনএফডিবি) এই কাজে আর্থিক সাহায্য করবে।

এর ফলে, সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলির সদস্যরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন। যেসব গ্রামে প্রাথমিক সমবায় সমিতিগুলি সক্রিয় নয়, অথচ তাদের পুনর্গঠনও করা যাচ্ছে না, সেখানে নতুন সমবায় সমিতি গঠন করা হবে। মন্ত্রীসভা মনে করে, সমবায় আন্দোলন জোরদার হলে, গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে। এই আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী, মৎস্য, পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রী ছাড়াও নাবার্ড, এনডিডিবি এবং এনএফডিবি-র প্রধানরাও এই কমিটিতে রয়েছেন।

বর্তমানে দেশে ১ লক্ষ ৬০ হাজার পঞ্চায়েতে কোনো প্যাক্স নেই। দেশের প্রায় ২ লক্ষ পঞ্চায়েতে দুগ্ধ সমবায় সমিতিও নেই।

মার্চ - ২৩, ২৮-৫৪, সমবায়, প্রসার

Comments

Popular posts from this blog

রক্তচাপ কমায় টম্যাটো

সার থেকে ক্যান্সার

আচ্ছে দিন