Posts

Showing posts from January, 2023

কমলায় স্বাস্থ্য

Image
শীতকালের উপাদেয় ফলই শুধু নয়, কমলালেবু স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য দরকারী শীতকালীন ফল কমলালেবুর রস খুবই জনপ্রিয়। ফলের স্যালাডে এবং বিভিন্ন মিষ্টিতেও এর ব্যবহার রয়েছে। এর খোসা থেকে তেল বা অরেঞ্জ অয়েল পাওয়া যায় যা বিভিন্ন খাবারে গন্ধের জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কমলালেবুর খোসা দিয়ে পানীয় এবং সুগন্ধী তৈরি হয়। ভ্যানিলা ও চকলেটের পর সারা বিশ্বে জনপ্রিয় সুগন্ধী, এই ফল থেকে তৈরি হয়। কমলা ফুলের পাপড়ি দিয়ে অরেঞ্জ ওয়াটার তৈরি হয়। কমল‍ার পাতা জলে সেদ্ধ করে তৈরি করা হয় ভেষজ চা। কমলালেবু থেকে আচার ও জেলিও তৈরি করা হয়। এত গেল খাবার হিসেবে কমলার কথা। তবে এর নানা রকম ঔষধি গুণও রয়েছে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, ফাইবার বা আঁশ এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ কমলালেবু ত্বক, চোখ এবং হৃৎপিণ্ডের ভালো রাখার জন্য জন্য আদর্শ ফল। এটি নিয়মিত খেলে শরীরে ক্যানসার কোষ বাড়তে পারে না বলে বিশেষজ্ঞরা বলেন। এই লেবুতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা চোখের জন্য ভালো। ফলটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচায় ও বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। কমলায় প্রচুর ভিটামিন এ এবং সি থাকে। এ দুটো ভিটামিনই খুবই শ

আদিবাসী উন্নয়নে কেন্দ্র

Image
আদিবাসীদের সংস্কৃতি রক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের জন্য কেন্দ্র বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানোন্নয়ন, তাঁদের সংস্কৃতি রক্ষা করা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের জন্য কেন্দ্র বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২০-র জাতীয় শিক্ষা নীতিতে স্থানীয় ভাষা ও মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর সুফল আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা পাবেন। দেশের বিভিন্ন একলব্য মডেল আবাসিক বিদ্যালয়গুলিতে ১ লক্ষেরও বেশি আদিবাসী ছাত্রছাত্রী নাম নথিভুক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী আদি আদর্শ গ্রাম যোজনার আওতায় ৩৬ হাজার ৪২৮টি গ্রামে নানা সংস্কারমূলক কাজ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলিতে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। বছরে ৭ হাজার ৫০০টি গ্রামকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছর ধরে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করা হবে। এসএফইউআরটিআই প্রকল্পের আওতায় ২৭৩টি ক্লাস্টার তৈরি করা হয়েছে। এই ক্লাস্টার থেকে প্রাপ্ত পণ্য সামগ্রী বন ধন কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে আদিবাসী সমাজের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি বিক্রি করতে পারবে। বিভিন্ন মিলেট, জোয়ার, বাজরা ও রাগিকে আরো জনপ্রি

উৎপাদন বেড়েছে ডাল, তেলের

Image
লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর ও পুদুচেরী সহ ২৫টি রাজ্যে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে চাষিদের নানা ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দেশে ডাল শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২ কোটি ৭৬ লক্ষ ৯০ হাজার টন। এই সময়কালে তেলবীজ উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ ৯০ হাজার টন। লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর সহ ২৮টি রাজ্যে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনের সহায়তায় – ডালের উৎপাদন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর ও পুদুচেরী সহ ২৫টি রাজ্যে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে - তেলবীজ প্রকল্পের আওতায় চাষিদের নানা ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারগুলির মাধ্যমে চাষিদের কাছে কৃষিকাজে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, নতুন প্রজাতির ডাল শস্য ও তৈলবীজ সরবরাহ করার পাশাপাশি নানা ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যসভায় শীতকালীন অধিবেশনে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। জানুয়ারি - ২৩, ২৮-৪১, ডাল ও তেল, উৎপাদন

নেশাগ্রস্ত শৈশব ও কৈশোর

Image
নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে কমবয়সি ছেলেমেয়েরা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে উদ্বেগজনক সংখ্যক তরুণ-তরুণী এবং কিশোর-কিশোরী অ্যালকোহল, গাঁজা বা আফিমের আসক্তিতে ভুগছেন। আর নেশাগ্রস্ত চার জনের মধ্যে তিন জনই চিকিৎসা পাচ্ছেন না। গত ১৪ ডিসেম্বর সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানায় যে, ভারতে ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় এক কোটি ৫৮ লাখ তরুণ ও কিশোর বিভিন্ন ধরনের নেশাদ্রব্যে আসক্ত। ভারতের ন্যাশনাল ড্রাগ ডিপেন্ডেন্স ট্রিটমেন্ট সেন্টারের এক সমীক্ষায় এই তথ্য জানা গেছে। এই সমীক্ষা হয়েছিল ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে। দেশের ১০টি মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট এবং ১৫টি এনজিওর সহযোগিতায় ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত নেশার দ্রব্য মদ, এরপর গাঁজা ও আফিম। এছাড়া কোকেনসহ অন্য মাদকদ্রব্যও এদেশে ব্যবহৃত হয়। যেসব রাজ্যে গাঁজার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, সিকিম এবং ছত্তিসগড়। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাস্তবে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি। সমীক্ষায় দেখা গেছে, কঠোর ড্রাগ কন্ট্রোল আইন এবং সারা দেশে ওষুধের নিয়ন্ত্রণের অনেক সংস্থা কাজ করলেও ব

জিন ফসলঃ সরষের পর আবার বেগুন

Image
জিন ফসলের কি সত্যি উৎপাদন বেশি হয় মহারাষ্ট্রের এক বীজ কোম্পানি বীজো শীতল সীডস প্রাইভেট লিমিটেড, জনক এবং বিএসএস ৭৯৩ নামে প্রথম-ফিলিয়াল প্রজন্মের হাইব্রিড বেগুনের জাত তৈরি করেছে। এই বিটি অর্থাৎ জিন পরিবর্তিত জাতগুলি ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আইএআরআই) মাধ্যমে উন্নত ট্রান্সজেনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। বীজো শীতল সংস্থাটি কর্ণাটকের বাগালকোট ইউনিভার্সিটি অফ হর্টিকালচার সায়েন্সেসকে এই বীজ পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছে। সংস্থাটি মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে এই বীজের পরীক্ষা করার অনুমতি চেয়েছে। ডাউন টু আর্থ সুত্রে এ খবর জানা গেছে। উল্লেখ্য, জিন পরিবর্তিত বা জিএম সরষে কেন্দ্রের পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ২০১১ সালে বিটি বেগুনের ওপর একটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ আরোপ করে। আশঙ্কা হল, এই সূত্রে এবার আরো অনেক কোম্পানি নানারকম জিএম ফসলের পরীক্ষা-নিরিক্ষা এবং চাষের জন্য অনুমোদন চাইবে। কোম্পানিটির মতে, ফল ও কান্ডছিদ্রকারী পোকার উপদ্রবে বেগুনের ফলন অনেক

চাষির আয় কমছে ডুবছে গ্রামীণ অর্থনীতি

Image
দ্বিগুণ আয়ের স্বপ্ন দূর অস্ত, বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাষির প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার কথা লিখছেন সুব্রত কুণ্ডু  ২০২২ ছিল চাষির আয় দ্বিগুণ হওয়ার বছর। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬-এ, উত্তর প্রদেশের বেরেলির কৃষক সমাবেশে, প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা করেছিলেন। এজন্য অশোক দলওয়াইয়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। ১৪ টি খণ্ডে চাষিদের আয় দ্বিগুণ করার বেশ মোটাসোটা প্রস্তাব জমা করেছিল এই কমিটি। আর চাষির আয় বলতে কী বোঝায়, সে সম্পর্কে কোনো ‘স্পষ্টতা’ না থাকায়, এ নিয়ে নীতি আয়োগের রমেশ চন্দ্র একটি পলিসি পেপার বা নীতিপত্র প্রকাশ করেন। এই পেপার অনুযায়ী আয়ের ভিত্তিবর্ষ হিসেবে ২০১৫-১৬ সালকে ধরা হয়েছিল। সেই হিসেবে ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১-এর মধ্যে, চাষির আয় গড়ে প্রতি বছর ১.৫ শতাংশ হারে কমেছে। অশোক দলওয়াই কমিটি, ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (এনএসও) এর সিচুয়েশন অ্যাসেসমেন্ট সার্ভে (এসএএস)’র ব্যবহৃত 'চাষির’ একটি বিস্তৃত সংজ্ঞা গ্রহণ করেছিল। এই হিসেবে চাষি পরিবারের সমস্ত আয় - ব্যবসা থেকে আয়, অ-কৃষি আয় এবং শ্রম মজুরিও ধরা হয়। এসএএস-এর ওপর ভিত্তি করে হিসেব করলে দেখা যায়, ২০১২-১৩ থেকে ২০১৮-১৯ এর মধ্যে ফ