কমলায় স্বাস্থ্য

শীতকালের উপাদেয় ফলই শুধু নয়, কমলালেবু স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য দরকারী


শীতকালীন ফল কমলালেবুর রস খুবই জনপ্রিয়। ফলের স্যালাডে এবং বিভিন্ন মিষ্টিতেও এর ব্যবহার রয়েছে। এর খোসা থেকে তেল বা অরেঞ্জ অয়েল পাওয়া যায় যা বিভিন্ন খাবারে গন্ধের জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কমলালেবুর খোসা দিয়ে পানীয় এবং সুগন্ধী তৈরি হয়। ভ্যানিলা ও চকলেটের পর সারা বিশ্বে জনপ্রিয় সুগন্ধী, এই ফল থেকে তৈরি হয়। কমলা ফুলের পাপড়ি দিয়ে অরেঞ্জ ওয়াটার তৈরি হয়। কমল‍ার পাতা জলে সেদ্ধ করে তৈরি করা হয় ভেষজ চা। কমলালেবু থেকে আচার ও জেলিও তৈরি করা হয়। এত গেল খাবার হিসেবে কমলার কথা। তবে এর নানা রকম ঔষধি গুণও রয়েছে।

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, ফাইবার বা আঁশ এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ কমলালেবু ত্বক, চোখ এবং হৃৎপিণ্ডের ভালো রাখার জন্য জন্য আদর্শ ফল। এটি নিয়মিত খেলে শরীরে ক্যানসার কোষ বাড়তে পারে না বলে বিশেষজ্ঞরা বলেন। এই লেবুতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা চোখের জন্য ভালো। ফলটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচায় ও বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

কমলায় প্রচুর ভিটামিন এ এবং সি থাকে। এ দুটো ভিটামিনই খুবই শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া হ্রদয় সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। কমলায় ক্যালরির পরিমাণ খুব কম। এতে কোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি নেই। এই লেবুতে রয়েছে প্যাকটিন– একটি ডায়েটারি ফাইবার বা খাদ্য তন্তু যা শরীরের অতিরিক্ত ওজন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। এতে আরো রয়েছে হেসপারেটিন, নারিনজিন ও নারিজেনিন ফ্লেভোনয়েড যা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ব্যাথা বেদনা কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

জানুয়ারি - ২৩, ২৮-৪৩, স্বাস্থ্য, পুষ্টি

Comments

Popular posts from this blog

রাজ্যে ভূ-জল কমছে

জিন ফসলঃ সরষের পর আবার বেগুন

ফসলে দাম নেই