Posts

Showing posts from July, 2022

পরিবেশঃ অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে

Image
এনভায়রনমেন্ট পারফরমেন্স ইনডেক্স অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত গ্রিনহাউস গ্যাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম নির্গমনকারী হবে ২০২২ সালে এনভায়রনমেন্ট পারফরমেন্স ইনডেক্স বা ইপিআই প্রকাশিত হয়েছে। এই ইন্ডেক্স অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৮০ তম। ভারতের আগে রয়েছে বাংলাদেশ ১৭৭ এবং পাকিস্তান ১৭৬ নম্বরে। এই তালিকায় শীর্ষ পাঁচটি দেশ হল ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, মাল্টা এবং সুইডেন। প্রতিবেদন অনুসারে বিপজ্জনক দূষিত বাতাস শোধন এবং দ্রুত বাড়তে থাকা গ্রিনহাউস গ্যাস কমানো ভারতের কাছে জরুরি চ্যালেঞ্জ। পরিবেশকে সুস্থ করার নানা রকম সরকারি প্রতিশ্রুতি আমরা অহরহ শুনি। সম্প্রতি জি-৭ গোষ্ঠীর সভায়ও জলবায়ু বদল নিয়ে বলেছে প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এই রিপোর্ট বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত গ্রিনহাউস গ্যাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম নির্গমনকারী হবে। প্রথমে থাকবে চিন। ইপিআই অনুসারে জৈব বৈচিত্রে আমারা ১৭৯, বাতাসের গুণমানে ১৭৯, ওজোন নির্গমনে ১৭৯, বাস্তুসংস্থান এবং তার জীবনীশক্তির ক্ষেত্রে ১৭৮ এবং স্বাস্থ্যে ১৭৮তম স্থানে রয়েছি। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে, এই সূচক অনুযায়ী ভারত ছিল ১৬৮ নম্বরে। অর্থাৎ করোনা কালে পরিবেশ আরো খারাপ হয়েছে

স্বাস্থ্যে রাঙা

Image
স্বাস্থ্যসাথী কামরাঙা কামরাঙা একটি টকমিষ্টি স্বাদযুক্ত ফল। টক জাতীয় ফলে থাকে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কামরাঙাও তাই একটি উপকারী ফল। ঠান্ডা লাগা কমাতে এটি বেশ ভালো কাজ করে। পেটের ব্যথা হলেও কামরাঙা খাওয়া যায়, রুচি ও হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। কামরাঙা বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। এই ফল খেলে ত্বক মসৃণ হয়। এতে রয়েছে ফাইবার বা আঁশ, যা খিদে কমায়। এর জন্য কামরাঙা খেলে ওজন কমে। রক্তচাপ কমিয়ে রক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক করে কামরাঙা। এর জন্য হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। তবে যাদের কিডনিজনিত সমস্যা রয়েছে তারা এই ফল খাবেন না। হেলথ অ্যালার্ট সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।  জুলাই - ২২, ২৮-০৪, স্বাস্থ্য, পুষ্টি

বেশি উৎপাদনের গল্প

Image
চল্লিশ বছর ধরে, ধান, গমের জমি বেড়েছে। কমেছে ভুট্টা, বাজরা। হারিয়েছে কোদো, শ্যামার জমি  ভারতে ১৯৮০-৮১ সালে ধান চাষ হত ১৭.৫ শতাংশ জমিতে। আর ২০২০-২১ সালে ধান চাষ হয়েছে মোট মোট চাষযোগ্য জমির ৪০.১ শতাংশ জমিতে। অনেকেই মনে করেন এটা বেশ শ্লাঘার বিষয়। কিন্তু অন্য ফসলগুলি দেখলে টের পাওয়া যাবে আমরা কী করেছি। ওই একই সময়ে ভুট্টা চাষের জমি ৫.৬ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১.৪ শতাংশ। বাজরার জমি ১ থেকে কমে ০.৩ শতাংশ হয়েছে। ডালের জমি ৫ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ০.৫ শতাংশে। তেলবীজের জমি ৩.৭ থেকে কমে হয়েছে ০.৬ শতাংশ। পুষ্টিকর মাইনর মিলেট, যেমন কোদো, শ্যামা ইত্যাদির চাষ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। জল, জমি, জৈববৈচিত্র, আবহাওয়া নষ্ট করে লক্ষ লক্ষ একর জমিতে বেশি উৎপাদনের আশায় আমরা ধান, গম জাতীয় দু’একটি ফসলের একক চাষ করেছি। এখনো করে চলেছি।   জুলাই - ২২, ২৮-০৩, কৃষি, অর্থনীতি

চাষিদের ধোঁকা !

Image
এমএসপি গ্যারান্টি আইন তৈরির কোনো কথা নেই সরকারি কমিটির দায়িত্বে আন্দোলন তোলার সময় কৃষক সংগঠনগুলির অন্যতম দাবী ছিল, এমএসপি বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি আইন তৈরি করতে হবে। সরকারের বক্তব্য ছিল, একটা কমিটি সরকার তৈরি করবে, যারা চাষিদের দাবীগুলি খতিয়ে দেখে সরকারের কাছে তাদের প্রস্তাব দেবে। প্রায় আট মাস বাদে চাষিরা বিরক্ত হয়ে যখন ‘বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ’ করতে জড়ো হচ্ছিল, তার ঠিক আগেই প্রাক্তন কৃষি সচিব সঞ্জয় আগরওয়ালের নেতৃত্বে ২৯ জনের একটি কমিটি তৈরি করল সরকার। এমএসপি’র ব্যবস্থাটিকে আরো কার্যকর করে এবং স্বচ্ছ উপায়ে কীভাবে সেই মূল্য চাষিদের দেওয়া যায় তার প্রস্তাব দেবে এই কমিটি। এছাড়া বাস্তবিকভাবে কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্ট অ্যান্ড প্রাইসেস (সিএপিসি)-কে কীভাবে আরো স্বায়ত্তশাসন দেওয়া যায় তার প্রস্তাব দেবে। এর সঙ্গে কৃষি বিপণন ব্যবস্থাকে মজবুত করার পরামর্শ দেবে। কিন্তু এমএসপি গ্যারান্টি আইন তৈরির পরামর্শ দেওয়ার এক্তিয়ার এই কমিটির আছে কিনা, সরকারি ঘোষণায় তার কোনো উল্লেখ নেই। উল্লেখ্য, কমিটিতে ২৯ জন সদস্যের মধ্যে রয়েছে মাত্র ৯ জন চাষিদের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। এই কমিটি শূন্য বাজ

বিকল্প জ্বালানি হাইড্রোজেন

Image
ভারত বর্তমানে ১২ লক্ষ কোটি টাকার জ্বালানি আমদানি করে। তাই বিকল্প হিসেবে পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন জ্বালানির উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার জীবাশ্ম জ্বালানি পেট্রোলিয়ামের জন্য অন্যদেশের প্রতি নির্ভরতা এবং তার জন্য অর্থনৈতিক চাপ; এর ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ; আর জলবায়ু নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তির স্বাক্ষরকারী হিসেবে ভারতকে, ২০৪৭ সালের মধ্যে জ্বালানি উৎপাদনে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য সৌর শক্তি, হাইড্রোজেন জ্বালানি ইত্যাদি উৎপাদনের নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এক সভায় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস দফতরের মন্ত্রী বলেন জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প যেসব সমস্যার সম্মুখীন, পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন জ্বালানি যাতে সেগুলিকে অতিক্রম করতে পারে তার জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। ভারত বর্তমানে ১২ লক্ষ কোটি টাকার জ্বালানি আমদানি করে। তাই বিকল্প হিসেবে পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন জ্বালানির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অনুকূল ভৌগোলিক পরিবেশ এবং প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে ভারতে পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন জ্বালানি উৎপাদনের সুবিধা রয়েছে। একে ভবিষ্যতের জ্বালানিও বলা হয়। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত তেল ও গ্যাস সংস্থাগ