Posts

Showing posts from April, 2022

উপকারী বেল

Image
গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী বেলের শাঁস। সপ্তাহে তিনদিন খেতে পারেন বেলের শরবত। এছাড়াও বেলের পাতা ভিজিয়ে রেখে সেই জল খেলেও উপকার মেলে। ডায়াবেটিসের রোগীরা নিয়মিত বেল খেতে পারেন। এতে থাকে মেথানল নামক এক ধরনের উপাদান থাকে। এই মেথানল রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে খুবই কার্যকরী। তবে এই রোগে আক্রান্তেরা শরবত না খেয়ে শুধু বেল খাবেন। বিভিন্ন রকম বাতের সমস্যা কমাতে বেল খুব ভালো কাজ দেয়। শরীরের বিভিন্ন জোড়ে ব্যথা বোধ করেন বেশিরভাগ মানুষই। এই সমস্যা বয়সকালে বাড়তেই থাকে। এ থেকে কিছুটা আরাম পাওয়া যায় বেলে খেলে। বেল শক্তিবর্ধক। প্রতি ১০০ গ্রাম বেল থেকে ১৪০ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। বেল খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। এসব কথা বলছে হেলথ সায়েন্স। এপ্রিল- ২২, ২৭- ৬৩, খাদ্য, স্বাস্থ্য

অবহেলিত স্বাস্থ্যকর ফল ফুটি, বাঙ্গি, কাকুড়

Image
ফুটি, বাঙ্গি, কাকুড়। ফলগুলি দেখতে আলাদা হলেও একই ধরনের ফল। একই জাতের ফল। বাংলার নিজস্ব ফল হলেও এগুলি আজ অবহেলিত। এইসব ফলে স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট থাকে না, তাই শরীরে অযথা চর্বি জমে না। শরীরের ওজন কমাতে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এর ভূমিকা অনেক। এতে চিনির পরিমাণ খুব কম। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এই ফলগুলি খুবই উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ডায়াটারি ফাইবার, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। এই ফলগুলিতে বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। এ দুটি কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ত্বকে বয়সের ছাপ এবং ত্বক কুচকে যাওয়া প্রতিরোধ করে। গরম ও অতিরিক্ত রোদের জন্য হয় সানবার্ন, সামার বয়েল, হিট হাইপার পাইরেক্সিয়া রোধ করতে এই ফলগুলি সাহায্য করে। অম্বল, ক্ষত বা আলসার, নিদ্রাহীনতা, ক্ষুধামান্দ্য, হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধ করে। এছাড়াও ফলগুলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য এগুলি বিশেষ উপকারী। মানসিক অবসাদ দূর করার ক্ষমতাও রয়েছে এই ফলে। ফলগুলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া অক্সিক

স্বাস্থ্য রক্ষায় কাঁচা আম

Image
শুধু স্বাদ নয় স্বাস্থ্যও ভালো রাখে কাঁচা আম গরমে কিছুটা স্বস্তি পেতে আমপোড়া শরবত খুব ভালো। তবে আম অনেক রকম ভাবেই খাওয়া যায়। শুধু স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যও ভালো রাখে কাঁচা আম। রোদের তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে কাঁচা আম। এই ফল নাকি সান স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাঁচা আম। কাঁচা আমে রোগ প্রতিরোধী ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। অম্বল, বুকজ্বালা, বদ হজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে কাঁচা আম বেশ উপযোগী। এই আম খাদ্যনালীতে বিভিন্ন পাচক উৎসেচকের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। অম্বলের সমস্যা কমাতে কাঁচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলনও রয়েছে। কাঁচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্যরক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাঁচা আমে থাকে ভিটামিন এ, যা চোখ ভালো রাখে। কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে

জৈব চাষে লঙ্কাকাণ্ড

Image
শ্রীলঙ্কায় খাদ্যের অভাবের কারণ হল জৈবচাষ। এরকমই এক  নিবন্ধ লিখেছেন এক অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিক । সত্যিই কি  জৈব চাষের জন্য এমন হাঁড়ির হাল - খুঁজেছেন সুব্রত কুণ্ডু  শ্রীলঙ্কায় খাদ্যের অভাবের কারণ হল জৈব চাষ। এরকমই এক নিবন্ধ লিখেছেন অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিক স্বামীনাথান আঙ্কেলেশ্বর আইয়ার। ওই নিবন্ধে তিনি পরোক্ষে চাষে রাসায়নিক ব্যবহার এবং জিন বদলানো ফসল চাষের পক্ষে যুক্তি সাজিয়েছেন। যার যা কাজ। শ্রীলঙ্কায় সরকার ১০০ শতাংশ জমিতে জৈব চাষ প্রসারের উদ্যোগ নিয়েছিল ২০১৯ সালে। লক্ষ্য ছিল মানুষের নিরাপদ খাদ্যের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য, এক স্বাস্থ্যকর এবং উৎপাদনক্ষম কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা। ২০২১ সালের ৬ মে তারা রাসায়নিক সার এবং বিষের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এসবের অনেক আগে থেকেই কিন্তু শ্রীলঙ্কায় ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে জৈব চাষ শুরু হয়ে ছিল। শ্রীলঙ্কায় মোট জমির ৪১.৬৩ শতাংশ জমিতে চাষ হয়। এর মাত্র ২৩.৪৫ শতাংশ জমিতে খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য ফসল চাষ হয়। সরকারি হিসেব বলছে ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল অবধি লাগাতার খাদ্য ফসলের চাষ থেকে আয় কমেছে। অন্যদিকে এদেশের ১০.৩২ শতাংশ জমিতে অর্থকরী ফসল হিসেবে চা, রাবা