Posts

Showing posts from December, 2021

মিথ্যের চাষ

Image
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নিয়ে মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে মিথ্যে বলছে সরকার। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি’র গ্যারান্টি দিতে গেলে সরকারের নাকি ১৭ লাখ কোটি টাকা খরচ হবে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা, যা সরকারের পক্ষধারী অর্থনীতিবিদেরা ছড়াচ্ছে। এই ১৭ লাখ কোটি টাকা আসলে সব কৃষিপণ্য, অর্থাৎ চাষ, পশুপালন, মাছচাষসহ সব উৎপাদিত কৃষি সামগ্রীর দাম। কিন্তু সরকার তো মাত্র ২৩টি ফসলের বাজারের দামের সঙ্গে এমএসপি’র যে ফারাক সেই দামটি নির্দিষ্ট করে দেয়। আর মূলত ১৪ থেকে ১৬টি ফসল সরকার কেনে। এই কেনার জন্য বর্তমানে সরকারের খরচ হয় ১৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ধান, গম আর ভুট্টা আর তেল বীজ হিসেবে চিনাবাদামের জন্যই সবথেকে বেশি খরচ হয়। তবে এমএসপি গ্যারান্টি আইন হলে সরকারকে কত খরচ হবে জানেন? ৩৬ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। নিচের টেবিলে সেটাই বলা হয়েছে। এই সরকার ও তার ধামাধরা অর্থনীতিবেদেরা মিথ্যে বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সম্প্রতি শিল্পপতিদের ৪৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব করেছে সরকার। আর যে পেশায় ভারতের ৬০ ভাগ লোক নিয়োজিত সেখানে এই সাহায্য দিতে সরকারের আপত্তি! ডিসেম্বর -২১, ২৭- ৪০, চাষ, এমএসপি

ভঙ্গুর উন্নয়নের কারণ

Image
এখনকার কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাস্তু, পরিবশে, প্রকৃতি সর্বোপরি উন্নয়ন প্রক্রিয়া ততটা টেকসই নয়। একথা রাষ্ট্রসংঘও মানে, লিখছেন সুব্রত কুণ্ডু সাসটেনেবল ডেভলপমেন্ট, সাসটেনেবল এগ্রিকালচার জাতীয় কিছু শব্দবন্ধ এখন বেশ পরিচিত। আর তাই পরিচিত হয়েছে সাসটেনেবল শব্দটিও। প্রকৃতি, পরিবেশ, উন্নয়ন বিষয়ক কথাবার্তায় সাধারণত এটি ব্যবহার হয়। কথাটির বাংলা কি তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে, আমার মনে হয়, খুব কাছাকাছি হল টেকসই। অনেকে সুস্থায়ী শব্দটিও ব্যবহার করে। কিন্তু কেন এই কথাটি নিয়ে এত ‘কথা’ ! কারণ এখনকার কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাস্তু, পরিবশে, প্রকৃতি সর্বোপরি উন্নয়ন প্রক্রিয়া ততটা টেকসই নয়, তাই। একথা রাষ্ট্রসংঘও মানে। আর সেজন্যই তারা ২০১৫ সালে ১৭ দফা সাসটেনেবল ডেভলপমেন্ট গোল বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য স্থির করে। ১৯৩টি দেশ এই লক্ষ্যের কাগজে সইও করে। অঙ্গীকার করে ২০৩০-এর মধ্যে তা অর্জন করার জন্য। এর আগে মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল ২০১৫ সনের মধ্যে অর্জন করার লক্ষ্য স্থির হয়েছিল। সেখানেও সাসটেনেবল বা টেকসই কথাটি বারবার ব্যবহার হত। সেই লক্ষ্যের বেশিরভাগই অর্জন হয়নি। তাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য। ইংরাজিতে সাস

বঙ্গে স্কুলছুট জাতীয় গড়ের থেকে বেশি

Image
প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মধ্যে স্কুলছুট হচ্ছে ৬১.৪১ ছাত্রছাত্রী পশ্চিমবঙ্গে স্কুলছুটের সংখ্যা জাতীয় গড়ের থেকে বেশি। তবে এ বিষয়ে প্রতিবেশী তিন রাজ্য বিহার, ঝাড়খন্ড এবং আসামের অবস্থা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। ইউনিফায়েড ডিসট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস ২০১৯-২০ রিপোর্টে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সারা ভারতে স্কুলগুলিতে প্রাথমিক পর্যায়ে শেষ পর্যন্ত হাজির থাকছে ৮৬.৯৭ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। উচ্চ প্রাথমিকে এবং মাধ্যমিকে হাজিরা কমে হচ্ছে, যথাক্রমে ৭৪.৫৯ এবং ৫৯.৫৫ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিকে তা আরো কমে হচ্ছে ৪০.১৭ শতাংশে। অর্থাৎ প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মধ্যে স্কুলছুট হয়ে যাচ্ছে ৫৯.৮৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। এই তথ্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকেই প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের উপস্থিতির হার হল, যথক্রমে ৮৬.১৪, ৬১.৬৭, ৪৬.৬০, ৩৮.৫৯ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। এক্ষেত্রে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মধ্যে স্কুলছুট হচ্ছে ৬১.৪১ ছাত্রছাত্রী। ডিসেম্বর -২১, ২৭- ৩৮, শিক্ষা, স্কুলছুট

ছোটোদের পাশে দাঁড়াই

Image
অর্থনীতির ফারাক থেকেই সামাজিক ফারাক।  অর্থনীতির আর সামাজিক থেকেই রাজনীতির ফারাক।  লিখছেন শুভেন্দু দাশগুপ্ত নানা কারণে ‘ছোটো’ রা বেজায় মুশকিলে। অনেক মাস ধরে করোনা অসুখে লোকজন ঘরের ভিতরে, বাইরে বেরচ্ছে কম। অফিস, কারখানা বন্ধ করে রাখায়, বন্ধ হয়ে থাকায়, কাজে থাকা লোকেদের ছাঁটাই, মাইনে কমিয়ে দেওয়া হয়ে চলেছে। যারা বেচাকেনা করে রোজগার করে তাদের আয় নেমে গেছে, নেমে যাচ্ছে। যারা লরি, বাস, টেম্পো, ট্যাক্সি, রিক্সা, অটো, টোটো চালিয়ে, সারিয়ে টাকা জোগাড় করতো, যাতায়াতের নিয়মকানুন, লোকজন, মালপত্তর চলাচলে নানা বাধা বানানোয় তাদের পাওনা গন্ডার হাল খারাপ। যারা বাইরে, দূরে কাজ করে ঘরে টাকা পাঠিয়ে সংসার চালাতে গিয়েছিল, তারা কাজ হারিয়ে ঘরে ফিরে এসেছে, এসেও কিছু করতে পারেনি। যারা দিন এনে দিন খায়, তাদের দিনের কাজ কমে গেছে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, দিন আনা কমে যাচ্ছে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে যে কথাটি, তা হলো আয় নেই, আয় কমে যাচ্ছে। আয় না থাকলে খাবার নেই, পড়বার কাপড় নেই, ওষুধ নেই, ছোটদের পড়াতে পাঠানো নেই, আরো বেশ কিছু নেই। আমরা যারা, যাদের নাম ‘মধ্যবিত্ত’ মাঝারি, যাদের চাকরিটা এখনও রয়েছে, আয়টাও কমেনি, এই ‘মাঝারি’রা