জয় কিষান !


রাধাতিলক ধান চাষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সেরা কৃষকের সম্মান পেলেন নদীয়ার শান্তিপুরের শৈলেন চণ্ডী। রাজ্য থেকে একমাত্র তিনিই ২০১৬-১৭ সালের সেরা কৃষকের সম্মান পেয়েছেন। কেন্দ্রীসরকারের তরফ থেকে তাঁর হাতে এক লক্ষ টাকার একটি চেক ও স্মারক অর্পণ করা হয়েছে। কেন্দ্রী কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার গত ২২ অক্টোবর দিল্লির শীর্ষ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পুসা ক্যাম্পাসের পেক্ষাগৃহে শৈলেন চণ্ডীর এই সম্মাননা তুলে দেন। প্রোটেকশন অফ প্লান্ট ভ্যারাইটিজ অ্যান্ড ফার্মার্স রাইট অথরিটি প্রকল্পে প্লান্ট জেনোম সেভিয়ার ফার্মার ২০১৬-১৭ হিসেবে তাঁর এই সম্মাননা।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশীয় কৃষিপণ্যের বিভিন্ন উপাদান নিয়ে উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য এই সম্মান চাষিদের প্রতিবছর দেওয়া হয়। শৈলেন বাবু দেশীয় প্রজাতির হারিয়ে যাওয়া ধান রাধাতিলকের সংরক্ষণ, চাষ ও বিপণন করে এই সম্মান পেয়েছেন। শৈলেনবাবু বলেন, ৬০ এর দশক থেকে এই ধরনের ধান দেশের বাজার থেকে আস্তে আস্তে হারিয়ে গিয়েছিল। গোবিন্দভোগ চালের পরিবর্তে রাধাতিলক চাল ব্যবহার করা যায়, সেটা অনেকই জানতেন না। শৈলেন বাবুর উদ্যোগে মানুষ ফের এই চালের গুরুত্ব বুঝেছে। বাজারেও চালটির গুরুত্ব বাড়ছে।
শৈলেন বাবু বলেন, শান্তিপুর ব্লকের মাটি এবং আবহাওয়া রাধাতিলক ধান চাষের পক্ষে উপযোগী। ২০১০ সালে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানীরা রাধাতিলক ধানের বীজ শান্তিপুরের শৈলেনবাবু সহ আরো কয়েকজন চাষির হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এসময় ১০ বিঘা জমিতে এই চাষ শুরু হয়। ২০১৮ সালে বিভিন্ন গ্রামে এই চাষের জমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২১০। তিনি বলেন, শান্তিপুর ব্লকে রাধাতিলক ধানের ফলন ভালো হচ্ছে। চালের গন্ধ ভালো থাকছে। পরিমাণে বেশি চাল পাওয়া যাচ্ছে। এই ধান চাষে জলের পরিমাণ কম লাগে। সামান্য জৈব সার প্রয়োগ করে এই চাষ করা যায়। বাজারে প্রায় ৭০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হওয়া রাধাতিলক চালের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে শৈলেন চণ্ডীকে অন্যতম কারিগর বলছেন এলাকার বাসিন্দারাও।          
অভিষেক পালের প্রতিবেদন
নভেম্বর ১৯২৫৩৪, বীজ সংরক্ষণ, সুস্থায়ী কৃষি  

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ