গুজরাতের পাথারি
গ্রামের চাষি জয়ন্তীভাই প্যাটেল প্রায় এক বছর ধরেই বাজারে ফলনের
দ্বিগুণ দাম পাচ্ছেন। তাঁর ১০ বিঘা জমিতে সবেদার বাগান রয়েছে। আগে পাইকারি
বাজারে প্রতি কুড়ি কেজি সবেদার জন্য ১৫০টাকা পেতেন। কিন্তু এখন
পাচ্ছেন ৪০০ টাকা। তাহলে কী এমন হল যে,
তিনি বাজার থেকে এত বেশি দাম পেলেন? প্যাটেল বলেছেন, তিনি এক বছর ধরে
বায়োগ্যাসের স্লারি ব্যবহার করছেন। এই বায়োগ্যাস প্লান্ট বাড়ির শৌচাগারের সঙ্গে
যুক্ত। এখানে শুধু মানুষের মলমূত্রই ব্যবহার করা হচ্ছে। জয়ন্তীভাই সহ আরো অনেক চাষিদের একাজে সাহায্য
করছে ফিনিশ বা ফিনান্সিয়াল ইনক্লুজন
ইমপ্রুভস স্যানিটেশন অ্যান্ড হেলথ সোসাইটি।
ফিনিশ সোসাইটি
উদ্যোগে দক্ষিণ গুজরাটের ভালসাদ, নওসারি ও সোমনাথ জেলার বেশ কিছু
চাষি গম, বেগুন, ধনে, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মেথি, পেঁয়াজ, পালং শাক, গাজর, শিম এবং মিষ্টি
আলুর চাষ করছে এই স্লারি দিয়ে। চাষিরা বলছেন, এই স্লারি ব্যবহার করে একদিকে
সারের খরচ অনেক কমেছে। আর অন্যদিকে ফসলের গুণমান এবং উৎপাদনের পরিমাণও বেড়েছে।
এছাড়া সুস্থ ফসল রোগপোকার আক্রমণও প্রতিরোধ করতে পারছে। এই খবর দিল ডাউন টু আর্থ পত্রিকা।
অগস্ট ১৯২৫১০
জৈব চাষ, পরিবেশ
Comments
Post a Comment