বাড়ছে খেতমজুরদের আত্মহত্যা
পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশাসহ আরো কিছু রাজ্য থেকে চাষির আত্মহত্যার কোনো খবর নেই ! প্রশ্ন সব মহলেই
এনসিআরবি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সব থেকে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। তারপর রয়েছে কর্নাটক, অন্ধ্র, তামিলনাড়ু এবং মধ্যপ্রদেশ। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, লক্ষদ্বীপ এবং পুদুচেরির মতো কিছু রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চাষি এবং খেতমজুরদের আত্মহত্যার ঘটনা শূন্য দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে তাই বিতর্কও দেখা দিয়েছে।
এনসিআরবি-এর রিপোর্টে আরো উদ্বেগজনক যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তা হল, খেত মজুরদের আত্মহত্যার তথ্য। খেত মজুরারা সাধারণত, দৈনিক মজুরির উপর নির্ভর করে। কৃষিকাজে নিয়োজিত মানুষদের মোট আত্মহত্যার মধ্যে ৫৩ শতাংশই হল খেতমজুর। এটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ বেশ কিছু বছর ধরে, কৃষি পরিবারগুলির গড় আয় ফসল উৎপাদনের থেকে খেতমজুরি করে বেশি হচ্ছে।
২০২১ সালে প্রকাশিত ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে, ল্যান্ড অ্যান্ড লাইভস্টক হোল্ডিংস অফ হাউসহোল্ডস এবং সিচুয়েশন অ্যাসেসমেন্ট অফ অ্যাগ্রিকালচারাল হোল্ডস-এর ৭৭তম রাউন্ডের সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছিল। সমীক্ষায় দেখানো হয়েছিল, একটি চাষি পরিবার সব থেকে বেশি আয় করছে মজুরি থেকে। এরপর ছিল পশুপালন। তারপর চাষ। ২০১৩ সালের পর থেকে, ফসল উৎপাদন থেকে চাষি পরিবারের আয় ধারাবাহিকভাবে কমছে।
ডিসেম্বর - ২৩, ২৯-৪০, কৃষি অর্থনীতি, চাষির আত্মহত্যা
Comments
Post a Comment