নাড়া পুড়িয়ে মারণ গ্যাস

নাড়া পোড়ালে কার্বন মনোক্সাইড, মিথেন, ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন, উদ্বায়ী জৈব যৌগ তৈরি হয়


‘কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি এবং পরিবেশ মন্ত্রক পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ এবং দিল্লির প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে নাড়া পোড়ানো একেবারে বন্ধ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য চারটি রাজ্যকে ক্রপ রেসিডিউ ম্যানেজমেন্ট (সিআরএম) প্রকল্পের অধীনে পর্যাপ্ত তহবিল সরবরাহ করছে’। এবছর অগস্টের সংবাদ পরিষেবায় আমরা একথা জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু নভেম্বরে এসে দেখা গেল— ৭ নভেম্বর অবধি পাঞ্জাবে ২২,৬৪৪টি নাড়া পোড়ানোর ঘটনার রেকর্ড করা হয়েছে, যা মোট ঘটনার ৯৩ শতাংশ।

পাঞ্জাব ধানের খামারগুলিতে অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে প্রায় ৭০-৮০ লক্ষ মেট্রিক টন নাড়া পোড়ানো হয়। এতে কার্বন মনোক্সাইড, মিথেন, ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন, উদ্বায়ী জৈব যৌগ তৈরি হয়। এই দূষণের এত প্রভাব যে, পাঞ্জাবে নাড়া পোড়ানো হলে দিল্লির মানুষের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বেশ কিছুদিন স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালত বন্ধ রাখতে হয়। এবছরও কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। আগে দিল্লি এবং পাঞ্জাব সরকার একে অন্যকে দোষারোপ করত। কিন্তু এখন এই দুই রাজ্যে একই দলের সরকার থাকা সত্ত্বেও নাড়া পোড়ানো বন্ধ করা যাচ্ছে না।

নভেম্বর - ২৩, ২৯-৩৪, কৃষি, বায়ু দূষণ

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ