টান পড়ছে ভূজলে

সারা বিশ্বে ভূজলেই হ্য ৪০ শতাংশ কৃষিকাজ। ভূজল যেহেতু সীমিত, তাই বেশি তুলে ফেললে এই জল কমে যায়

চাষে জল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলের অভাব হলে চাষিদের ভূমির নিচের জল বা ভূজলের ওপর উপর নির্ভর করতে হয়। সারা বিশ্বে ৪০ শতাংশ কৃষি নির্ভর করে ভূজলের ওপর। ভূজল যেহেতু সীমিত, তাই সময়ের সঙ্গে এই জল কমে যায়। ভারতের খাদ্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত পাঞ্জাব। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ভুজলের টান পড়ছে এই রাজ্যে।

এখানকার চাষিদের বক্তব্য, দশ বছর আগে পাঞ্জাবের বেশিরভাগ এলাকায় ৯ থেকে ১২ মিটার গভীরতায় ভূজল পাওয়া যেত। এখন ভূজল ১৮ থেকে ২১ মিটারের মধ্যে পাওয়া যায়। রাজ্যটির বিভিন্ন অংশে সপ্তাহে মাত্র একবার সেচ খালের জল আসে— যেটা যথেষ্ট নয়। তাই এখানকার চাষি ভুজলের ওপর বেশি নির্ভরশীল। ভূজল পেতে তাই প্রায়শই আরো গভীরে খনন করতে হয়। এটা শুধু ভবিষ্যতের চাষের সমস্যা তৈরি করছে তা নয়। ভূজল ব্যবহার করা খুবই ব্যয়বহুল। কিন্তু এই রাজ্যের চাষিদের হাতে কোনো বিকল্প নেই। ভূজলের তল নীচে নেমে যাওয়ায় শুধু ক্ষেতের মালিকরাই নয়, সকলেরই ক্ষতি। কারণ পানীয় জলের উৎসও ভূজল।

পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও তথৈবচ। বিশেষ করে বোরো মরশুমে চাষের জন্য এত জল তুলে নেওয়া হয় যে, মার্চ মাসের পর থেকে পানীয় জল অভাব দেখা দিচ্ছে। এর সঙ্গে আর্সেনিক, ফ্লুরাইড দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। আর্সেনিকের অবশেষ ধানেও দেখা যাচ্ছে।

নভেম্বর - ২৩, ২৯-৩৬, কৃষি, ভূজল

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ