প্লাস্টিকময়

প্লাস্টিক দূষণে ভারত ৪ নম্বরে

২০২৩-এর ২৮ জুলাই পৃথিবী তার প্রথম প্লাস্টিক ওভারশুট ডে দেখেছে। এই ওভারশুট ডে মানে কি? মানে হল, সারা বছর পৃথিবীর যতটা প্লাস্টিক ধারণ এবং ফের ব্যবহার করার ক্ষমতা রয়েছে তা ৭ মাসেই অর্থাৎ জুলাইয়ের শেষেই পেরিয়ে গেছে। সুইজারল্যান্ডের আর্থ অ্যাকশন নামে একটি সংস্থা এই পরিমাপ করে। তাদের মতে এই বছর প্রায় ৬৮,৬৪২,৯৯৯ টন অতিরিক্ত প্লাস্টিক বর্জ্য প্রকৃতিতে পাওয়া যাবে। দেশে দেশে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা বাড়লেও, ২০৪০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক উৎপাদন বাড়বে এবং এর দূষণ তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে আর্থ অ্যাকশনের প্রতিবেদনে। তাদের মতে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী উত্পাদিত ১ কোটি ৫৯ লক্ষ টন প্লাস্টিকের মধ্যে, একক বা অল্প সময়ের জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পরিমাণ হবে ৬৮ লক্ষ ৫০ হাজার টন যা মূলত দূষণের কারণ হবে।

ব্যক্তি প্রতি প্লাস্টিক ব্যবহারে সব থেকে এগিয়ে আছে আইসল্যান্ড, যার বার্ষিক ব্যবহার ১২৮.৯ কেজি। ভারতে এর পরিমাণ ৫.৩ কেজি। পৃথিবীতে বছরে গড়ে ব্যক্তি প্রতি ২০.৯ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহার হয়। একটি দেশের প্লাস্টিক ওভারশুট ডের পরিমাপ করা হয় মিসম্যানেজড ওয়েস্ট ইনডেক্স বা বর্জ্য অ-ব্যবস্থাপনার সূচকের উপর ভিত্তি করে। মাথা পিছু অনেক কম প্লাস্টিক ব্যবহার হলেও, ভারতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্যের ৯৮.৫৫ শতাংশের কোনো ব্যবস্থাপনা করা হয় না। তাই এই তালিকার চার নম্বরে আমরা রয়েছি। আমাদের আগে যে তিনটি দেশ রয়েছে সেগুলি হল মোজাম্বিক (৯৯.৮ শতাংশ), নাইজেরিয়া (৯৯.৪৪ শতাংশ) এবং কেনিয়া (৯৮.৯ শতাংশ)।

আর্থ অ্যাকশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৩ সালে ভারতে অব্যবস্থাপিত প্লাস্টিক বর্জ্য হতে পারে ৭৩ লক্ষ ৭৫২ টন। এর মধ্যে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৬৪ টন মাইক্রো-প্লাস্টিক নদী নালা, সমুদ্রে মিশবে— যেটা বিপজ্জনক। 

অগস্ট - ২৩, ২৯-১৫, প্লাস্টিক, দূষণ

Comments

Popular posts from this blog

রক্তচাপ কমায় টম্যাটো

সার থেকে ক্যান্সার

আচ্ছে দিন