Posts

Showing posts from April, 2021

যোগ যোগাসন

Image
ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (এনসিএফ) ২০০৫, স্বাস্থ্য ও শরীরশিক্ষার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসাবে যোগাসনকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিল। বলা হয়েছিল, প্রথম থেকে দশম শ্রেণি অবধি বাধ্যতামূলক আর একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যোগাসনকে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ও শরীরশিক্ষার ওপর প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে সমন্বিত পাঠক্রম তৈরি করছে যোগাসনকে নিয়ে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এখবর জানা গেছে। এপ্রিল -   ২১ ২৬-২৬, শরীরশিক্ষা, স্বাস্থ্য

শিক্ষায় বাজেট কমছে

Image
দেশের জিডিপি বা গড় জাতীয় উৎপাদনের ছয় শতাংশ শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এটি একটি পুরানো দাবি। তবে এবছরের হিসেব যাচাই করলে বোঝা যাবে, জিডিপির ছয় শতাংশের ধারে কাছে পৌঁছোয়নি কেন্দ্রীয় শিক্ষা বাজেট। সরকারি হিসেবে, ২০১৯-২০ সালে ভারতের মোট জিডিপির আনুমানিক মূল্য ছিল ১৪৫.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা। এই হিসেবে ৬ শতাংশ হল ৮ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা। ২০২০ সালে শিক্ষার জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৯৯,৩১১ কোটি টাকা। ২০২১-এ তা কমে হয়েছে ৯৩,২২৪ কোটি টাকা। এবছরের বাজেট গত তিন বছেরের বাজেটের মধ্যে সবথেকে কম। নতুন শিক্ষানীতিতে সর্বশিক্ষা অভিযান এবং রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযানকে এক করে নাম দেওয়া হয়েছিল সমগ্র শিক্ষা অভিযান। এই অভিযানে গতবছর বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ছিল ৩৮ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। এবছর তা কমে হয়েছে ৩১ হাজার ৫০ কোটি। মিড ডে মিল খাতে এ বছর বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা গত বছরের থেকে ৫০০ কোটি টাকা বেশি। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে – ৫ এ দেশে অপুষ্টির এক ভয়াবহ অবস্থা আমরা দেখেছি। ২০২০ সালে কোভিডের ফলে স্কুল বন্ধ ছিল। খাবারের অভাব হয়েছিল স্কুল পড়ুয়াদের। সেই হিসেবে বরাদ্দ য

অসুখী ভারত

Image
সুখী দেশের তালিকায় এক্কেবারে তলানিতে ভারত। ১৯ মার্চ প্রকাশিত রাষ্ট্রসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২১-এর তালিকায় ১৪৯ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৩৯। তালিকার টানা চার বছর শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। ২০১৯-এর রিপোর্টে ভারতের স্থান ছিল ১৪০। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা ১২৯, পাকিস্তান ১০৫, বাংলাদেশ ১০১, নেপাল ৮৭ এবং চিন ৮৪ তম স্থানে রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে জিডিপি বা গড় জাতীয় উৎপাদন, গড় আয়ু, সামাজিক উদারতা, সামাজিক সহায়তা, স্বাধীনতা এবং দুর্নীতির উপর ভিত্তি করে সুখী দেশগুলির তালিকা তৈরি করে রাষ্ট্রসংঘ। এ বছর তার সঙ্গে যোগ হয়েছে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি। এপ্রিল -   ২১ ২৬-২৪, সমাজ, মানবতা

উপকারী কাঁচা কলা

Image
কাঁচা কলা খুবই উপকারী সবজি। যদি বাড়তি ওজন কমাতে চান, তবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এই সবজি। কাঁচা কলার আঁশ বা ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এর আঁশ চর্বি কমাতেও সাহায্য করে, রক্তে শর্করা বা চিনি নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কাঁচা কলায় প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রতিদিন পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সবজি, ফল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। তবে পটাসিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কাঁচা কলা খাওয়া উচিত। কাঁচা কলা আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজম হয়। এই সবজি পেটে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। তবে অতিরিক্ত পেট ফাঁপার সমস্যা থাকলে কাঁচা কলা না খাওয়াই ভালো। এই সবজি কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যাও অনেক সময়ে বাড়িয়ে দেয়। কাঁচা কলায় থাকে এনজাইম, যা ডায়রিয়া এবং পেটের নানা সংক্রমণ দূর করে। তাই ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকেরা কাঁচা কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। হেলথ অ্যাকশন সূত্রে এখবর জানা গেছে। এপ্রিল -   ২১ ২৬-২৩, খাদ্য, স্বাস্থ্য

জলবায়ু বদল রুখতে সরকারি উদ্যোগ

Image
জলবায়ু বদলের পরিবর্তনের প্রভাব সারা বিশ্বে পড়েছে। এর ফলে, ৫টি ক্ষেত্র – জল, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, কৃষি ও শক্তি বিশেষ করে প্রভাবিত হচ্ছে। তাই, এর মোকাবিলায় শহরে জলবায়ুর অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলা এবং হিমালয় অঞ্চলে বাস্তুতন্ত্রের সমীক্ষা ও বিশ্লেষণের একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর জল, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, কৃষি ও শক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলিতে ৫ বছর মেয়াদী এক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে জানানো হয়েছে। পৃথিবী ক্রমশ গরম হচ্ছে। বদল হচ্ছে জলবায়ু। এই বদলের প্রভাব যদি এখনই রোধ করা না যায়, তা হলে সমুদ্রের জলতল বাড়তেই থাকবে। শহরগুলিতে ঘন জনসংখ্যার কারণে প্রচুর   বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষণের তারতম্য ঘটায় হড়পা বাণের ঘটনা বাড়ছে। বিভিন্ন কারণে বর্ষা অনিয়মিত হচ্ছে। কখনো খুব বেশি বা কখনো একেবারেই বৃষ্টি হচ্ছে না। এগুলি সবই উদ্বেগের কারণ। দেশের প্রায় সবকটি রাজ্যেই জলবায়ু বদলের প্রভাব পড়ছে। এই বদলের প্রভাবের দিক থেকে ঝাড়খন্ড সবচেয়ে বেশি অসুরক্ষিত এবং মহারাষ্ট্র সবচেয়ে কম প্রভাবিত। পশ্চিমবঙ্গ সহ ৮টি রাজ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তুলনামূলক বেশি। এই প্রেক্ষিতে এযাবৎ কেন্দ্

অ্যানথ্রোপসিন মহামারি ও আগামী পৃথিবী

Image
পৃথিবী বদলে যাচ্ছে। আমাদের চারপাশে জীব ও জড়ের পরস্পরের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকার ভূতাত্ত্বিক পর্ব হল হলোসিন। ১১ হাজার ৭০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই হলোসিন পর্ব গড়ে উঠেছিল। তথাকথিত আধুনিকতার নামে মানুষকেন্দ্রিক ভোগবাদে ভর করে আমরা একটি নতুন ভূতাত্ত্বিক যুগ – অ্যানথ্রোপসিন-এ প্রবেশ করেছি। অপরিসীম প্রকৃতি শোষণের এই যুগের প্রভাব, বাস্তু ব্যবস্থা (ইকোলজি) এবং প্রতিবেশে সব জীব ও জড়ের ওপরই খুব প্রকট। জলবায়ু বদল থেকে শুরু করে নতুন নতুন রোগের আবির্ভাব এবং তার ফলে মহামারির প্রভাবে আমাদের টিকে থাকাই খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। নতুন এই পর্বে বিভিন্ন পরিবর্তনের সঙ্গে ক্ষুদ্র জীবাণু এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে সংক্রমিত হচ্ছে। এর ফলে নতুন নতুন মহামারির আবির্ভাব হচ্ছে। এক জীবের দেহ থেকে অন্য জীবের রোগ সৃষ্টিকারী এই প্রক্রিয়াকে জুনোসিস এবং রোগগুলিকে জুনোটিক রোগ বলা হয়। কোভিড-১৯ সহ সার্স, ইবোলা ইত্যাদি হল জুনোটিক রোগ, যা একের পর এক মহামারি ডেকে আনছে। যে কোনো জীবের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হল বংশবৃদ্ধি, আর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদেরকে মানিয়ে নেওয়া। অ্যানথ্রোপসিন পর্বে মানুষের ভোগের সব সীমারেখা উজাড় হয়