জলবায়ু বদল রুখতে সরকারি উদ্যোগ
জলবায়ু বদলের পরিবর্তনের প্রভাব সারা বিশ্বে পড়েছে। এর ফলে, ৫টি ক্ষেত্র – জল, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, কৃষি ও শক্তি বিশেষ করে প্রভাবিত হচ্ছে। তাই, এর মোকাবিলায় শহরে জলবায়ুর অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলা এবং হিমালয় অঞ্চলে বাস্তুতন্ত্রের সমীক্ষা ও বিশ্লেষণের একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর জল, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, কৃষি ও শক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলিতে ৫ বছর মেয়াদী এক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে জানানো হয়েছে।
পৃথিবী ক্রমশ গরম হচ্ছে। বদল হচ্ছে জলবায়ু। এই বদলের প্রভাব যদি এখনই রোধ করা না
যায়, তা হলে সমুদ্রের জলতল বাড়তেই থাকবে। শহরগুলিতে ঘন জনসংখ্যার কারণে
প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষণের তারতম্য
ঘটায় হড়পা বাণের ঘটনা বাড়ছে। বিভিন্ন কারণে বর্ষা অনিয়মিত হচ্ছে। কখনো খুব বেশি বা
কখনো একেবারেই বৃষ্টি হচ্ছে না। এগুলি সবই উদ্বেগের কারণ। দেশের প্রায় সবকটি
রাজ্যেই জলবায়ু বদলের প্রভাব পড়ছে। এই বদলের প্রভাবের দিক থেকে ঝাড়খন্ড সবচেয়ে
বেশি অসুরক্ষিত এবং মহারাষ্ট্র সবচেয়ে কম প্রভাবিত। পশ্চিমবঙ্গ সহ ৮টি রাজ্যে
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তুলনামূলক বেশি।
এই প্রেক্ষিতে এযাবৎ
কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের সহায়তায় জলবায়ু বদলের কর্মসূচি নিয়ে
দেড় হাজার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে ১ হাজারটি আন্তর্জাতিক
জার্নালগুলিতে স্থান করে নিয়েছে। সরকার বলছে, তারা জলবায়ু বদলের মোকাবিলায় ১০০টি
নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। বিভিন্ন রাজ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ
দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা এর কুপ্রভাব সম্পর্কে জন সচেতনতা গড়ে তুলতে পারে। এখন
প্রশ্ন হল, শুধু গবেষণাপত্র প্রকাশ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করে জলবায়ু বদল কি রোখা
যাবে?
এপ্রিল - ২১ ২৬-২২, জলবায়ু বদল, সরকারি উদ্যোগ
Comments
Post a Comment