আত্মনির্ভর গ্রাম ও আজকের গ্রাম স্বরাজ
ষোলো আনা গ্রামসভার চেষ্টায় মদ, অনুন্নয়ন আর দারিদ্র মুছে মাত্র তিন বছরেই সমৃদ্ধ ঝাড়খণ্ডের সিমারকুণ্ডি, আরা ও কেরাম লিখছেন রিনচেন নরবু ওয়াংচুক ভোর সাড়ে চারটে বাজল। প্রতিদিন এই ঘোষণায় ঘুম ভাঙে আরা আর কেরাম গ্রামের। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি জেলার পাশাপাশি এই দুই গ্রামে জনসংখ্যা ৬০০। ঘুম থেকে ওঠার পর সবাই ১ ঘন্টা বাড়ি এবং গ্রাম পরিষ্কার করে। আবর্জনা বাঁশ দিয়ে তৈরি কুড়াদানে ফেলা হয়। এরপর তারা চাষের কাজ করতে মাঠে যায়। গ্রামেরই কয়েকজন যুবক-যুবতী বাচ্চাদের পড়তে বসায়। স্কুলে যাওয়ার আগে অবধি এই পড়াশোনা চলে। একসময় অনুন্নয়ন, দারিদ্র্য আর মদের নেশায় জর্জরিত এই গ্রাম, আজ স্বনির্ভরতার উজ্জ্বল উদাহরণ। গ্রামের কাছাকাছি একটাই স্কুল। মাত্র দুজন প্যারা টিচার বা পার্শ্ব শিক্ষক এই স্কুল চালাত। সেটা ২০১৭ সাল। সেসময় দুটি গ্রামের লোক মিলে ঠিক করে, তারা আরো দুজন শিক্ষক নিয়োগ করবে। আর গ্রামবাসীদের চাঁদায় তাদের চার হাজার টাকা করে মাইনে দেবে। যেমন কথা তেমন কাজ। গ্রামেরই দুজন স্নাতককে নিয়োগ করা হয় স্কুলে। ওই একই বছর, বাসিন্দারা, বিশেষ করে মহিলারা, একসাথে গ্রামে মদ খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করেছিল। তারা বুঝতে পেরেছিল মদই পরিবারগুল