Posts

Showing posts from October, 2022

আত্মনির্ভর গ্রাম ও আজকের গ্রাম স্বরাজ

Image
ষোলো আনা গ্রামসভার চেষ্টায় মদ, অনুন্নয়ন আর দারিদ্র মুছে মাত্র তিন বছরেই সমৃদ্ধ ঝাড়খণ্ডের সিমারকুণ্ডি, আরা ও কেরাম লিখছেন রিনচেন নরবু ওয়াংচুক ভোর সাড়ে চারটে বাজল। প্রতিদিন এই ঘোষণায় ঘুম ভাঙে আরা আর কেরাম গ্রামের। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি জেলার পাশাপাশি এই দুই গ্রামে জনসংখ্যা ৬০০। ঘুম থেকে ওঠার পর সবাই ১ ঘন্টা বাড়ি এবং গ্রাম পরিষ্কার করে। আবর্জনা বাঁশ দিয়ে তৈরি কুড়াদানে ফেলা হয়। এরপর তারা চাষের কাজ করতে মাঠে যায়। গ্রামেরই কয়েকজন যুবক-যুবতী বাচ্চাদের পড়তে বসায়। স্কুলে যাওয়ার আগে অবধি এই পড়াশোনা চলে। একসময় অনুন্নয়ন, দারিদ্র্য আর মদের নেশায় জর্জরিত এই গ্রাম, আজ স্বনির্ভরতার উজ্জ্বল উদাহরণ। গ্রামের কাছাকাছি একটাই স্কুল। মাত্র দুজন প্যারা টিচার বা পার্শ্ব শিক্ষক এই স্কুল চালাত। সেটা ২০১৭ সাল। সেসময় দুটি গ্রামের লোক মিলে ঠিক করে, তারা আরো দুজন শিক্ষক নিয়োগ করবে। আর গ্রামবাসীদের চাঁদায় তাদের চার হাজার টাকা করে মাইনে দেবে। যেমন কথা তেমন কাজ। গ্রামেরই দুজন স্নাতককে নিয়োগ করা হয় স্কুলে। ওই একই বছর, বাসিন্দারা, বিশেষ করে মহিলারা, একসাথে গ্রামে মদ খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করেছিল। তারা বুঝতে পেরেছিল মদই পরিবারগুল

শ্রেষ্ঠ শিক্ষা

Image
ফিনল্যান্ডের ছোট বাচ্চারা স্কুলেই যায় না। অথচ যেকোনো দেশের তুলনায় তাদের  ছকভাঙা শিক্ষা ব্যবস্থা  ভালো    ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ। শিক্ষায় আমেরিকা, ব্রিটেনকেও অনেক ক্ষেত্রে হার মানায় ফিনল্যান্ড। অথচ, সেখানকার ছকভাঙা ব্যবস্থায় ছোট থেকে বাচ্চারা স্কুলেই যায় না। ফিনল্যান্ডের শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় সাত বছর বয়স থেকে। তার আগে তারা স্কুলেই যায় না। ছোটদের নার্সারি স্কুলের অস্তিত্ব অবশ্য ফিনল্যান্ডেও আছে, তবে সে সব স্কুলে লেখাপড়া নয়, বাচ্চারা খেলাধুলো করে। ফিনল্যান্ডের মানুষ মনে করে, সাত বছরের আগে শিশুদের মাথায় লেখাপড়া নিয়ে চাপ দেওয়া উচিত নয়। এদেশে সাত বছরের কমবয়সি শিশুদের খেলাধুলোর মাধ্যমে তাদের সৃজনশীল সত্তার বিকাশ ঘটানো হয়। সমবয়সিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব, সকলে মিলেমিশে থাকা, এক সঙ্গে কোনো গঠনমূলক কাজ করা— এ সবই হয় ছোটদের নার্সারি স্কুলে। ফিনল্যান্ডে পড়ুয়াদের জন্য স্কুল কেবল ন’বছর বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ, সাত বছর বয়সে স্কুলে ঢুকে ১৬ বছরেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাট চুকিয়ে দেওয়া যায়। ইচ্ছা করলে অবশ্য ১৬ বছর বয়সের পরও পড়ুয়ারা স্কুলে বা কলেজে উচ্চশিক্ষা চাল

ভারতের অ-সার ব্যবস্থা

Image
  চাষের জমিতে মূলখাদ্য, অণুখাদ্য এবং জৈব কার্বনের অভাব রয়েছে। রাসায়নিক সারের ব্যাপক ব্যবহার মাটির এই প্রাকৃতিক পুষ্টির হ্রাসের প্রাথমিক কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে সিএসই'র রিপোর্টে দিল্লির সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই) ভারতে জৈব সার নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ২০১৫-১৬ এবং ২০১৮-১৯-এই সময়ের মধ্যে সারা ভারতে পরীক্ষিত মাটির তথ্যের সমীক্ষা করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে সংস্থাটি। রিপোর্টিতে বলা হয়েছে, ভারতের মাটিতে মূলখাদ্য, অণুখাদ্য এবং জৈব কার্বনের অভাব রয়েছে। রাসায়নিক সারের ব্যাপক ব্যবহার মাটির এই প্রাকৃতিক পুষ্টির হ্রাসের প্রাথমিক কারণ। ২০১৯ সালে ভারত, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাসায়নিক সারের উত্পাদক এবং ব্যবহারকারী ছিল, যেখানে মোট ব্যবহৃত রাসায়নিক সারের প্রায় ৫০ শতাংশই ইউরিয়া। এই প্রেক্ষাপটে রিপোর্টটিতে জৈবসার ব্যবহারের উপকারিতাও পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জৈবসারকে উপকারী অণুজীবের ব্যবহারের উপযোগী করে বীজ, শিকড় বা মাটিতে যোগ করলে, মাটির স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার হয়। জৈব সার হল উদ্ভিদ, প্রাণীর অংশ এবং বর্জ্য থেকে প্রাপ্ত পচনশীল জৈব উপাদান দিয়ে