Posts

Showing posts from February, 2022

জ্বরের ওষুধের প্রতিক্রিয়া

Image
যারা নিয়মিত প্যারাসিটামল খান, তাদের হার্ট অ্যাটাক ও  স্ট্রোকের  ঝুঁকি বাড়তে পারে  অতিমারির সময় প্যারাসিটামল-৬৫০ ট্যাবলেটের বিক্রি প্রচুর বেড়েছে। শুধুমাত্র ডোলো-৬৫০ ব্রান্ড নামের প্যারাসিটামল বিক্রি হয়েছে ৫৬৭ কোটি টাকার। এছাড়াও বাজারে রয়েছে ক্রোসিন, ক্যালপলের মতো ব্র্যান্ড। বলা হয় এটি একটি নিরাপদ ওষুধ – যার প্রায় কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকা যেসব ব্যক্তি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল খান, তাদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে এক গবেষণায় দেখা গেছে। গবেষণাটি করেছে, এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাদের বক্তব্য, যেসব রোগী দীর্ঘসময় ধরে প্যারাসিটামল গ্রহণ করছেন, তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়গুলি চিকিৎসকদের চিন্তা করা দরকার। এই ওষুধটি সাধারণত ব্যথা উপশম এবং জ্বর কমানোর জন্য ব্যবহার করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, 'প্যারাসিটামলের কারণে তৈরি হওয়া উচ্চ রক্তচাপ' হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ। গবেষণাটিতে ১১০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে নেওয়া হয়, যাদের টানা দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ৪টি করে প্যারাসিটামল খেতে দেয়া হয়। এই ১১০ জনের

উপকারিপাতা

Image
শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ানো নয় স্বাস্থ্যও ভালো করে কারিপাতা রান্নার স্বাদ বাড়ায় কারিপাতা। আর ১০০ গ্রাম কারিপাতার মধ্যে থাকে ১৮০ ক্যালোরি শক্তি। এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার বা আঁশ, ক্যালসিয়াম, খনিজ এবং ভিটামিন থাকে কারিপাতায়। তবে শুধুমাত্র স্বাদ ও গন্ধের জন্যই নয়, চুলপড়ার সমস্যা, রক্তাল্পতা, ডায়াবেটিস এবং, স্নায়ুর সমস্যারও সমাধান রয়েছে কারিপাতাতে। প্রতিদিন সকালে একগ্লাস জলের সঙ্গে কয়েকটি কারিপাতা চিবিয়ে খান। এরপর ৩০ মিনিট কিছু খাবেন না। কারিপাতার মধ্যে থাকে ভিটামিন সি, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম, নিকোটিনিক অ্যাসিড। এইভাবে নিয়মিত খেলে চুলপড়া কমে। খালি পেটে কারিপাতা খেলে হজমশক্তি বাড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। যে কারণে বিভিন্ন রান্নাতেও কারিপাতা ব্যবহার করা হয়। বমি ভাব কমাতে কাঁচা কারিপাতা চিবিয়ে খান। ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা রাখে কারিপাতা। খাবারের মধ্যে কারিপাতা থাকলে তাই কোলেস্টেরল থাকে নিয়ন্ত্রণে। হার্টের সমস্যার সম্ভাবনাও কমে। কারিপাতা, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কারিপাতায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও প্রচুর রয়েছে। এটা স্নায়ুর রোগে উপকারী। কারিপাতার

পুষ্টির জন্য বাজরা

Image
পিএম পোষণ কর্মসূচিতে বাজরার অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা খতিয়ে  দেখার জন্য রাজ্যগুলিকে অনুরোধ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার শিশুদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবারের উপাদান বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার সেই সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পিএম পোষণ কর্মসূচির মাধ্যমে বাজরার অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সপ্তাহে অন্তত একদিন বাজরার মতো মোটা জাতীয় দানাশস্যকে যেন খাদ্য তালিকায় রাখা হয়। সেই সঙ্গে, বাজরা-ভিত্তিক খাবারকে আরও জনপ্রিয় করতে রাঁধুনি ও তাঁর সহকারীদের মধ্যে রান্নার প্রতিযোগিতা আয়োজন করা যেতে পারে। বাজরার পৌষ্টিক উপাদান সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরি করা যেতে পারে। এই ভিডিওগুলি বিদ্যালয়ে দেখানোর ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। নীতি আয়োগ পিএম পোষণ কর্মসূচিতে বাজরার অন্তর্ভুক্তিতে উৎসাহ দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই আয়োগ রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত প্রশাসনগুলিকে নিয়ে জাতীয় স্তরে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করেছে।  ফেব্রুয়ারি -২২, ২৭- ৪৯, পুষ্টি, ফসল

মহিলা ও শিশু পুষ্টির প্রকল্প

Image
কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি মিশন পোষণ ২.০, মিশন শক্তি ও মিশন বাৎসল্য নামে তিনটি কর্মসূচি নিয়েছে ভারতের মোট জনসংখ্যার ৬৭.৭ শতাংশ মহিলা ও শিশু। দেশের সার্বিক ও টেকসই উন্নয়নে এদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজন। শিশুদের যাতে পুষ্টির কোনো অভাব না হয়, তারা যাতে খুশিতে থাকে এবং মহিলারা যাতে কোনো রকমের বৈষম্য ও হিংসার শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি মিশন পোষণ ২.০, মিশন শক্তি ও মিশন বাৎসল্য নামে তিনটি কর্মসূচি নিয়েছে। মিশন পোষণ হল একটি সুসংহত পুষ্টির প্রকল্প। শিশু, বয়ঃসন্ধিতে থাকা কিশোরী, যেসমস্ত মহিলারা গর্ভধারণ করেছেন এবং স্তন্যদাত্রী মায়েদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশজুড়ে পুষ্টির বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা, ভালো খাদ্যের অভ্যাস, এবং অপুষ্টির সমস্যা দূর করা সম্ভব। পোষণ ২.০-র মাধ্যমে অঙ্গনওয়াড়ী, বয়সন্ধিতে থাকা কিশোরীদের জন্য প্রকল্প এবং পোষণ অভিযানকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পুষ্টি নিয়ে সরকার অনেক কথা বললেও, এই অভিযানের অন্তর্ভুক্ত ম

রাজ্যের ৫,২১৭টি গ্রামে পাইপ বাহিত জল

Image
ভারত সরকার ২০১৯-এর অগস্ট থেকে রাজ্যগুলির সহায়তায় জল জীবন মিশন রূপায়ণ করছে দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ৫ লক্ষ ৫৬ হাজার গ্রামে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্য স্থির করে। যে সমস্ত গ্রামীণ পরিবারে দৈনিক বিশুদ্ধ পানীয় জলের জোগান ৪০ লিটারের কম এবং যেখানে ভূগর্ভস্থ জল বিভিন্ন কারণে দূষিত, সেখানে অতিরিক্ত বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়। এখনও পর্যন্ত দেশে ৫ লক্ষ ৯২ হাজার গ্রামে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। ভারত সরকার ২০১৯-এর আগস্ট থেকে রাজ্যগুলির সহায়তায় জল জীবন মিশন রূপায়ণ করছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল, ২০২৪-এর মধ্যে প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারে পাইপবাহিত জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়া। কর্মসূচি রূপায়ণে সারা দেশে একাধিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে কর্মসূচির রূপায়ণের অগ্রগতি নিয়ে নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠক ও নজরদারি, দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ, কর্মসূচি রূপায়ণের সেরা পন্থা-পদ্ধতি আদান-প্রদান প্রভৃতি। পশ্চিমবঙ্গে ২০১৬-১৭ পর্যন্ত পূর্ববর্তী জাতীয় গ্রামীণ পানীয় জল কর্মসূচির মাধ্যমে ৪,৭৬৬টি গ্রামকে চিহ্নিত করা হয়

‘কার্বন নির্গমন কমাতে সরকার বাধ্য নয়’

Image
আইন অনুসারে ভারত কার্বন নির্গমন কমাতে  পরবর্তী ৫ বছরের জন্য কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করতে বাধ্য নয় জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রাষ্ট্রসংঘের কিয়োটো প্রোটোকল এবং প্যারিস চুক্তির আওতায় বর্তমান আইন অনুসারে ভারত কার্বন নির্গমন কমাতে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করতে বাধ্য নয়। তবে সরকার প্যারিস চুক্তির আওতায়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর জন্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলিকে দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম নয়, এমন জ্বালানি শক্তি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে ২.৫ থেকে ৩ বিলিয়ন টন কার্বনডাই অক্সাইড শোষণের জন্য অতিরিক্ত গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ব্রিটেনের গ্লাসগো’র কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস (সিওপি২৬)-এর অধিবেশনে ভারত ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যের কথাও বলেছেন। লোকসভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে এ কথা জানিয়েছেন। ফেব্রুয়ারি -২২, ২৭- ৪৬, পরিবেশ, দূষণ

বৈষম্যের অমৃতকাল

Image
তথাকথিত 'অমৃতকালের' আসল ছবিটা একদম অন্যরকম এবছরের বাজেটে বলা হয়েছে আমরা অমৃতকালে প্রবেশ করেছি। ভাবখানা এমন যেন প্রতিটি ভারতবাসী এখন সুখে-স্বচ্ছন্দে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু আসল ছবিটা একদম অন্য। সম্প্রতি ইনইকুয়ালিটি কিলস নামে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছ বিশ্বের অন্যতম প্রধান স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্সফ্যাম। সেই রিপোর্ট একটু ঘাঁটলেই বোঝা যাবে এটা অমৃত না বিষকাল। ২০২১ সালের হিসেব অনুযায়ী এই রিপোর্টে বলা হয়েছে · দেশের ৮৪ শতাংশ পরিবারের আয় কমেছে আর বিলিওনেয়ার (প্রায় ৮হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক)-এর সংখ্যা ১০২ থেকে ১৪২ হয়েছে। · ২০২১ সালে, ভারতের ১০০ জন ধনী ব্যক্তির সম্মিলিত সম্পদ ছিল - ৫৭.৩ লক্ষ কোটি টাকা – যা একটা রেকর্ড। · ওই একই বছরে, জনসংখ্যার নীচের দিকে থাকা ৫০ শতাংশ মানুষ জাতীয় সম্পদের মাত্র ৬ শতাংশ ভোগ করেছিল। · অতিমারির সময়ে (২০২০ সালের মার্চ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত), ভারতীয় ধনকুবেরদের সম্পদ ২৩.১৪ লক্ষ কোটি (৩১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) থেকে বেড়ে ৫৩.১৬ লক্ষ কোটি টাকা (৭১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) হয়েছে। · এই সময়ে ৪.৬ কোটিরও বে