Posts

Showing posts from January, 2022

প্রাকৃতিক পুঁজির মাপকাঠি ইকোলজিক্যাল ফুটপ্রিন্ট

Image
আমাদের চাহিদা মেটাতে, আর যে বর্জ্য আমরা তৈরি করি তা বিলীন হতে  বা প্রকৃতিতে মিশে যেতে দেড় খানা পৃথিবী দরকার, লিখছেন  সুব্রত কুণ্ডু আমাদের চাহিদা মেটাতে, আর যে বর্জ্য আমরা তৈরি করি তা বিলীন হতে বা প্রকৃতিতে মিশে যেতে দেড় খানা পৃথিবী দরকার। গ্লোবাল ফুট প্রিন্ট নেটওয়ার্ক নামে একটি সংস্থা এসব হিসাবকিতাব করে। এর থেকে তারা প্রতিবছর আর্থ ওভারসুট ডে বলে একটা দিন ঠিক করে। আর্থ ওভারশুট ডে হল একটি দিন, যে দিনটির মধ্যে আমরা ওই বছরে আমাদের জন্য বরাদ্দ সম্পদ ব্যবহার করে ফেলি। ২০২১-এ এই দিনটি ছিল ২৯ জুলাই। ২০০০ সালে ওভারসুট ডে ছিল ২৩ সেপ্টেম্বর। আর ২০১০ থেকে ১৮ সালের মধ্যে এই দিনটি অগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ঘোরাফেরা করেছে। ২০২০ তে আমরা পৃথিবীর সম্পদ কম ব্যবহার করেছিলাম করোনা মহামারির কারণে। তাই এই দিনটি পেছিয়ে হয়েছিল ২২ অগস্ট। এই তথ্য বলছে, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের পরিমাণ বাড়ছে। আর আমরা চাইলে এই সম্পদ ব্যবহার কমাতেও পারি। যদিও এই হিসেব নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে কিছু বিতর্ক আছে। তবে বেশিরভাগ বিজ্ঞানী স্বীকার করেন যে, এটি ভঙ্গুর উন্নয়ন ব্যবস্থাকে খুব ভালোভাবেই বোঝাতে পারে। হিসেবটি আরেকটু সহজ করে বলা যাক।

ঘুর্ণীঝড়ের পরিমাণ বাড়ছে

Image
পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির নিচু উপকূলীয়  অঞ্চলগুলি ঘুর্ণী ঝড়ের প্রভাবে বেশি প্রভাবিত হয়েছে।  বিগত কয়েক বছরে ঘূর্ণিঝড় এবং ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। ১৯৯১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়কালে ভারত মহাসাগরে (বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর) অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য বিশ্লেষণ এসব জানা গেছে। বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের ওপর সৃষ্টি হওয়া পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে গড়ে তিন থেকে চারটি ভূমিতে আছড়ে পড়ে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি করেছে। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির নিচু উপকূলীয় অঞ্চলগুলি এইসব ঝড়ের প্রভাবে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। বর্তমানে আবহাওয়ার পূর্বাভাষ নিখুঁত হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেলেও, প্রচুর সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। মারা পড়ছে অনেক গবাদি পশু। জানুয়ারি -২২, ২৭- ৪৩, পরিবেশ, দুর্যোগ

জৈব চাষে সরকার

Image
সরকার পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনার মাধ্যমে চাষিদের জৈব চাষে উৎসাহ দিচ্ছে। এই দুটি প্রকল্প ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে শুরু হয়েছিল। সরকার পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা বা পিকেভিওয়াই এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য মিশন অরগ্যানিক ভ্যালু চেন ডেভেলপমেন্ট ইন নর্থইস্ট রিজিয়ন (এমওভিসিডিএনইআর )-এর মাধ্যমে চাষিদের জৈব চাষে উৎসাহ দিচ্ছে। এই দুটি প্রকল্প ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে শুরু হয়েছিল। প্রকল্প দুটির মাধ্যমে চাষিরা জৈব পদ্ধতিতে ফসল ফলালে তার জন্য শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট দেওয়া, জৈব ফসল বাজারজাত করা, এবং তার প্যাকেজিং ও মজুত করার কাজে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। পিকেভিওয়াই দেশের সব রাজ্যে জৈব চাষে উৎসাহ দিয়ে থাকে। প্রকল্পটিতে তিন বছরের মেয়াদে চাষিদের হেক্টর পিছু জমিতে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে বীজ কেনা, জৈব সার, জৈব কীটরোধক, কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্টসহ বিভিন্ন জৈব উপাদান সংগ্রহ করতে চাষিদের হেক্টর পিছু ৩১ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এমওভিসিডিএনইআর-এর মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চাষিরা কৃষিপণ্য উৎপাদক সংস্থার মাধ্যমে জৈব চাষে উৎপাদিত ফসলের প্রক্রিয়াকরণ এবং বাজারজাত করার সহায়তা পান। এই প্রকল্পে কৃষিপণ্য উৎপাদক সংস্থা গঠ

সরকারি হিসেবে বন বাড়ছে

Image
সরকারি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের তুলনায়  মোট বন ও গাছের পরিমাণ ২,২৬১ বর্গ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া সম্প্রতি দেশের বনাঞ্চল নিয়ে সমীক্ষা রিপোর্ট ' ইন্ডিয়া স্টেট অব ফরেস্ট রিপোর্ট ২০২১ প্রকাশ করেছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের মোট বন ও বৃক্ষের পরিমাণ ৮০.৯ মিলিয়ন হেক্টর, যা দেশের ভৌগলিক আয়তনের ২৪.২৬ শতাংশ। বর্তমান সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের তুলনায় মোট বন ও গাছের পরিমাণ ২,২৬১ বর্গ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ১৭ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ভৌগোলিক অঞ্চলের ৩৩ শতাংশের বেশি বনভূমি রয়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, বনের আচ্ছাদন, গাছের আচ্ছাদন, ম্যানগ্রোভ বা বাদাবনের আচ্ছাদন ক্রমশ বাড়ছে। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে - · গভীর ও ঘন বনের পাশাপাশি খোলা বনের ক্ষেত্রেও আয়তন বেড়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে ৬৪৭ বর্গ কিলোমিটার, তেলেঙ্গানায় ৬৩২ বর্গ কিলোমিটার এবং ওড়িশায় ৫৩৭ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চল বৃদ্ধি পেয়েছে। · অঞ্চল অনুযায়ী দেশের বৃহত্তম বনভূমি রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। এরপরের তালিকায় রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, ছত্রিশগড়, ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্র। ম