জৈব চাষে সরকার

সরকার পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনার মাধ্যমে চাষিদের জৈব চাষে
উৎসাহ দিচ্ছে। এই দুটি প্রকল্প ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে শুরু হয়েছিল।


সরকার পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা বা পিকেভিওয়াই এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য মিশন অরগ্যানিক ভ্যালু চেন ডেভেলপমেন্ট ইন নর্থইস্ট রিজিয়ন (এমওভিসিডিএনইআর )-এর মাধ্যমে চাষিদের জৈব চাষে উৎসাহ দিচ্ছে। এই দুটি প্রকল্প ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে শুরু হয়েছিল। প্রকল্প দুটির মাধ্যমে চাষিরা জৈব পদ্ধতিতে ফসল ফলালে তার জন্য শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট দেওয়া, জৈব ফসল বাজারজাত করা, এবং তার প্যাকেজিং ও মজুত করার কাজে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

পিকেভিওয়াই দেশের সব রাজ্যে জৈব চাষে উৎসাহ দিয়ে থাকে। প্রকল্পটিতে তিন বছরের মেয়াদে চাষিদের হেক্টর পিছু জমিতে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে বীজ কেনা, জৈব সার, জৈব কীটরোধক, কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্টসহ বিভিন্ন জৈব উপাদান সংগ্রহ করতে চাষিদের হেক্টর পিছু ৩১ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

এমওভিসিডিএনইআর-এর মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চাষিরা কৃষিপণ্য উৎপাদক সংস্থার মাধ্যমে জৈব চাষে উৎপাদিত ফসলের প্রক্রিয়াকরণ এবং বাজারজাত করার সহায়তা পান। এই প্রকল্পে কৃষিপণ্য উৎপাদক সংস্থা গঠন করলে চাষিদের হেক্টর পিছু তিন বছরের জন্য ৪৬,৫৭৫ টাকা দেওয়া হয়। এর সাহায্যে তারা উন্নতমানের বীজ সংগ্রহ করতে পারেন। তাদের আর্থিক সাহায্যের জন্য কৃষিপণ্য উৎপাদক সংস্থা এবং বেসরকারি শিল্পোদ্যোগীদের যথাক্রমে ৭৫ শতাংশ এবং ৫০ শতাংশ হারে ভর্তুকি দেওয়া হয়। এই অর্থে উৎপাদিত ফসল মজুত রাখা, সেগুলি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে পাঠানো, ফসল সংরক্ষণ করে রাখার মতো বিভিন্ন কাজে সহায়তা করা হয়।

এগুলি ছাড়াও মিশন ফর ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট অফ হর্টিকালচার, ন্যাশনাল প্রজেক্ট অন অরগ্যানিক ফার্মিং, রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা এবং ন্যাশনাল প্রজেক্ট অন অরগ্যানিক ফার্মিং আন্ডার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের মাধ্যমে জৈব চাষে সাহায্য করা হয়।

জানুয়ারি -২২, ২৭- ৪২, চাষ, জৈব চাষ

Comments

Popular posts from this blog

রক্তচাপ কমায় টম্যাটো

সার থেকে ক্যান্সার

আচ্ছে দিন