চাষের জমি গিলছে ইটভাটা

নতুন ইটভাটা তৈরি হলে নষ্ট হবে আরো কৃষি জমি। 
এর ফল শেষ পর্যন্ত ভুগবেন চাষিরা


ইটভাটা এতদিন ছিল খনি জাতীয় কাজ বা মাইনিং অ্যাক্টিভিটি। কারণ, মাটি খুঁড়ে ইট তৈরির কাজ হত ইটভাটায়। পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র ছাড়া ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হত না। আর এই পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হত। ছাড়পত্রের এই ব্যবস্থা শিথিল করে রাজ্য মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে দেড় মিটার পর্যন্ত মাটি খুঁড়ে ইট তৈরি করা হলে তা, খনির কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হবে না। ফলে পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্রের কোনো দরকার পড়বে না। আগেই রাজ্যে বহু বেআইনি ইটভাটা গজিয়ে উঠেছে। ফলে বহু কৃষিজমি চলে গেছে ইটভাটার কবলে। তবে এই বেআইনি ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা এ রাজ্যে ঘটেছে।

মন্ত্রীসভার এই সিদ্ধান্তে একঝটকায় সব বেআইনি ইটভাটা এবার আইনি হয়ে যাবে। যারা পরিবেশের দূষণ করছে তাদেরও আর ধরা যাবে না। এছাড়া আরো অনেক ইটভাটা তৈরি হবে যত্রতত্র। ইটভাটায় মাটির ওপর থেকে দেড় মিটার অবধি খুঁড়ে ইট তৈরি করা হয়। এজন্য নতুন ইটভাটা তৈরি হলে নষ্ট হবে আরো কৃষি জমি। এর ফল শেষ পর্যন্ত ভুগবেন চাষিরা।

সেপ্টেম্বর -২১, ২৭-১৮ পরিবেশ, দূষণ

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ