Posts

Showing posts from March, 2021

বাজারের চুক্তি চাষে আনন্দে চাষি !

Image
চুক্তি চাষে কৃষকের লাভ। মোটামুটি এই শিরোনামে সর্বাধিক প্রচারিত এক দৈনিকে কয়েকদিন আগে এক সাংবাদিক লিখেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, চুক্তিতে আলু চাষ করে চাষিরা অনেক লাভ করছে। এবছর ৯৪০ টাকা কুইন্ট্যাল দরে আলু মাঠ থেকে কিনে নিচ্ছে ভেন্ডারেরা। অতএব চুক্তি চাষ নিয়ে যেসব বিরোধ হচ্ছে সেগুলি অবান্তর। খুবই ভালো কথা। কিন্তু কত লাভ হচ্ছে, তার কোনো হিসেব দেওয়া হয়নি। বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়ার চুক্তিতে এবং চুক্তি ছাড়া আলুর চাষ করে এরকম কয়েকজন চাষির সঙ্গে কথা জানা গেল – সাধারণ আলু চাষে বীজ, সার, বিষ, সেচ, শ্রমসহ সব ধরে এবারে গড়ে ২৩ হাজার টাকা খরচ হয়ছে বিঘায় (৩৩ শতক)*। কারণ এবারে এক বস্তা বীজের দাম ৪৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকা উঠেছিল। অন্যদিকে চুক্তি চাষে এলআর, আর এফসি এই দুই জাতের চাষ হয়। এক্ষেত্রে খরচ হয়েছিল ১৯ হাজার ৫০০ টাকা। কারণ এলআর বা এফসি বীজ আলুতে গাছ হওয়ার মত ‘চোখ’ কম হয়। ফলে এই বীজ-এর পরিমাণ বেশি লাগে। চাষিদের মতে, এক বিঘা জ্যোতি আলু চাষে যেখানে ৫০ কেজি বস্তার কমবেশি আড়াই বস্তা বীজ লাগে। সেখানে চুক্তির আলু বীজ লাগে ৫ বস্তা। এবছর এই বীজের দাম ছিল ১৮০০ টাকা বস্তা। অর্থাৎ জ্যোতি আলুতে যেখানে বিঘা প্রতি স

জলবায়ু বদলে চাষের সর্বনাশ

Image
ভারত গত কয়েক বছর ধরে পরিবর্তনশীল বর্ষাকালের সাক্ষী হয়েছে।   গত বছর জুনে উদ্বৃত্ত বৃষ্টি হয়েছিল। অর্থাৎ সাধারণত ওই মাসে যতটা হয় তার থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছিল। এভাবেই জুলাই মাসে ঘাটতি, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে উদ্বৃত্ত বৃষ্টি হয়েছিল। এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের এই ধারা ইঙ্গিত দেয় জলবায়ু বদলের। কয়েক বছর আগেও এই পরিবর্তনকে ব্যতিক্রম হিসেবে দেখা হত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি, এই ব্যতিক্রমই ক্রমশ নিয়মে পরিণত হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত গ্লোবাল ক্লাইমেট চেঞ্জ রিস্ক ইন্ডেক্স বা জলবায়ু ঝুঁকি সূচক-২০২০ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,   জলবায়ু বদলের ঘটনাগুলির মাধ্যমে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির তালিকায় ভারত রয়েছে সপ্তম স্থানে। জলবায়ু বদলের ফলে চাষি, বিশেষত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের আরো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ভারতে বেশিরভাগ ফসল ফলায় ছোট এবং প্রান্তিক চাষিরা। আর তাই দেশের কৃষি উৎপাদনে জলবায়ু বদলের ক্ষতিকর প্রভাব পড়বেই। মার্চ -   ২১ ২৬-১৯, জলবায়ু বদল, কৃষি,

জাতীয় কৃষি বাজার

Image
জাতীয় কৃষি বাজার বা ই-নাম কৃষি বিপণনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে। সরকারের মতে, চাষিরা এই বৈদ্যুতিন মঞ্চ ব্যবহার করে ক্রেতাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে। লেনদেনের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা তৈরি হয়েছে। পণ্যগুলি তার মান অনুযায়ী সঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে। সরকারের হিসেবে ই-নাম-এর অধীনে ১৮ টি রাজ্য এবং তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে মোট এক হাজারটি বাজারের সংযোগ ঘটানো হয়েছে। এ পর্যন্ত ১.৬৯ কোটি চাষি এবং ১.৫৫ লক্ষ ব্যবসায়ী এই বাজারের আওতায় এসেছে। আর এ পর্যন্ত মোট ৪.১৩ কোটি মেট্রিক টন পণ্য, ১.২২ লক্ষ কোটি টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে, এই মঞ্চে আরো এক হাজার বাজার যুক্ত করা হবে অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট ভাষণে বলেছেন। মার্চ -   ২১ ২৬-১৮, কৃষি, বাজার

চাষিদের সংস্থা কি নতুন ফাঁদ?

Image
ভারতের আর্থিক উন্নয়ন এবং দেশ গঠনের কাজে কৃষিক্ষেত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২২ সালের মধ্যে দেশে কৃষিপণ্য রফতানির পরিমাণ দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এই রফতানিযোগ্য ফসল উৎপাদন করবে কারা? আমাদের দেশে ৮৬ শতাংশই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি। সরকার মনে করে, এদের উন্নত প্রযুক্তি, মূলধন, বাজারের সুবিধাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করতে পারলে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। এজন্য ক্ষুদ্র ও ভূমিহীন চাষিদের একত্রিত করে কৃষিপণ্য উৎপাদক সংস্থা গঠন করতে হবে। এতে চাষিদের আর্থিক শক্তি বৃদ্ধি হবে এবং তারা বাজারের সুবিধা পাবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে। আর তাই সরকার ১০ হাজার কৃষিপণ্য উৎপাদক সংস্থা বা এফপিও তৈরি করে সেগুলি পরিচালনের কাজে সাহায্য করতে উদ্যোগী হয়েছে। বাজেটে এজন্য ৬৮৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকারের মতে, কৃষিপণ্য উৎপাদক সংস্থাগুলি একজোট হয়ে ফসল ফলাবে। আর সরকার ‘এক দেশ এক পণ্য’ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ফসল উৎপাদন থেকে তার প্রক্রিয়াকরণ, বাজারজাত করা, ব্র্যান্ডিং (নির্দিষ্ট নামে সেই ফসল জনপ্রিয় করা) এবং তা রফতানিতে উৎসাহ দেবে। এফপিও গঠনের কাজে সরকারি সংস্থা এসএফএসি, এনসিডিসি, নাবার