Posts

Showing posts from February, 2020

সবজি উৎপাদনে শীর্ষে বাংলা

Image
কেন্দ্রীয় সরকারের ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের প্রতিবেদন অনুযায়ী সবজি উৎপাদনে গোটা দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করেছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে প্রায় ২ কোটি ৯৫ লক্ষ টন সবজি ফলন হয়েছে এ রাজ্যে, যা দেশের মোট আনাজ উৎপাদনের ১৫.৯ শতাংশ। উৎপাদনের নিরিখে এবারে দ্বিতীয় উত্তরপ্রদেশ। তাদের উৎপাদন ২ কোটি ৭৭ লক্ষ টন। শতাংশের হিসেবে ১৪.৯ শতাংশ। সবজি উৎপাদনে এর পরের রাজ্যগুলি হল মধ্যপ্রদেশ ৯.৬ শতাংশ, বিহার ৯ শতাংশ, এবং গুজরাট ৪.৮ শতাংশ। আগের অর্থবর্ষে উত্তরপ্রদেশ প্রথম এবং পশ্চিমবঙ্গ ছিল দ্বিতীয় স্থানে। সবজি উৎপাদনে এগিয়ে থাকা রাজ্য   ২০১৮-২০১৯ রাজ্য এলাকা (হেক্টর) উৎপাদন (কোটি টন) উৎপাদনশীলতা টন/হেক্টর পশ্চিমবঙ্গ ১৪,৯০,৩৯০ ২.৯৫৫ ১৯.৮২ উত্তরপ্রদেশ ১২,৫৬,২৭০ ২.৭৭০ ২২.০৫ মধ্যপ্রদেশ ৮,৯৭,৯৯০ ১.৭৭৭ ১৯.৭৯ বিহার ৮,৭২,৫৫০ ১.৭০০ ১৯.১৪ গুজরাট ৬,২৬,২৬০ ১.২৫৫ ২০.০৪ ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের তৃতীয় অগ্রিম হিসেব অনুযায়ী   ফেব্রুয়ারি - ২০ ২৫-৭২, কৃ

রাজ্যে ভূ-জল কমছে

  রাজ্যে ভূ-জল বা মাটির তলার জলের পরিমাণ বেশিরভাগ জেলায় কমছে। কেন্দ্রীয় ভূ-জল বোর্ডের এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই জলের তল গত ১০ বছরে ২০.১৯ মিটার কমেছে। বর্ধমানে কমেছে ১১.৪৮ মিটার, হুগলিতে ৯.২৫ মিটার, পূর্ব মেদিনীপুরে ১০.৭৫ মিটার আর হাওড়ায় ৯.৫৫ মিটার। ১০ বছরে মুর্শিদাবাদে কমেছে ৮.৫৩ মিটার, বীরভূমে ৭.২৭ মিটার, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৪.২০ মিটার। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর দিনাজপুরেও বিভিন্ন জায়গাতে ভূ-জলের তল নেমেছে। তবে জলতল কিছুটা বেড়েছে বাঁকুড়া, দার্জিলিং, নদিয়া এবং পুরুলিয়া জেলায়। সামনেই বোরো মরশুম। এই সময়েই এলোপাতাড়ি যথেচ্ছ ভূ-জল তুলে চাষ করা হয় ঝোঁক এরাজ্যে রয়েছে। এই ঝোঁক ক্রমশ আমাদের বিপদের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।    মাটির তলার জল তুলে চাষ কমাতে তাই সচেতনতা জরুরি। ফেব্রুয়ারি - ২০ ২৫-৭১, কৃষি, সেচ    

সুস্থায়ী চাষের বাজেট

Image
প্রচুর বাইরের সামগ্রী যেমন রাসায়নিক সার, বিষ, বীজ নির্ভর চাষের এখনও রমরমা। এতে প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন জল, মাটি, জৈব বৈচিত্রের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। তেমনি জলবায়ু বদলের অন্যতম কারণ এই চাষ। তবুও সরকার এখনো এই চাষেরই প্রসার করছে। অন্যদিকে ক্ষুধা নিবৃতি, দারিদ্র মোচন, সুস্থায়ী পরিবেশসহ ২০৩০ সালের মধ্যে সুস্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্যও কাজ করার অঙ্গীকার করেছে আমাদের সরকার। সরকার যদি সত্যিই সুস্থায়ী উন্নয়ন চায়, তবে দ্রুত সবুজ বিপ্লবের নেশা ছেড়ে আরো দায়বদ্ধ, পরিবেশমুখী সুস্থায়ী কৃষিনীতি গ্রহণ করতে হবে। কথাগুলি এই চাষের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনেরা বরাবই বলে আসছে। এর অর্থ চাষিদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার জন্য উৎসাহ দিতে হবে। রাসায়নিক সার-বিষ, জল এবং শক্তির জন্য ভরতুকি বন্ধ করে জল, মাটি, জৈব বৈচিত্র সংরক্ষণ যারা করবে তাদের আর্থিক সাহায্য দিয়ে উৎসাহ দিতে হবে। পুষ্টি ও গুণমান সম্পন্ন ফসলের উৎপাদনে গুরুত্ব দিতে হবে। বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন এবং রোগপোকা নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তির প্রসার ঘটাতে হবে। পরিবেশমুখী সুস্থায়ী কৃষি গবেষণা এবং উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে। চাল ও গমের জমি আনুপাতিকভাবে কমিয়ে ছোট দানার ফ

‘অর্থহীন’ কৃষি বাজেট

Image
গত ৬ বছর ধরে ভারতের কৃষির কোনো উন্নতি হয়নি – একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের আর্থিক সমীক্ষায় একথাই বলা হয়েছে। তবে নোটবন্দী এবং অপরিকল্পিত জিএসটির জন্য গত তিন বছর ধরে দেশের আর্থিক অবস্থার সঙ্গে কৃষি-অর্থনীতির অবস্থাও ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। এখন তো মন্দার পরিস্থিতি। এই অবস্থা থেকে ভারতের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বাম, দক্ষিণ, মধ্য সব ধারার অর্থনীতিকরা চাহিদা বাড়ানোর দিকে জোর দিতে বলছিলেন বহু দিন ধরে। আর চাহিদা বাড়ানোর জন্য কৃষি এবং গ্রামীণ ক্ষেত্রে অর্থ জোগানের কথাও তাঁরা বলছেন। যুক্তি, সাধারণ মানুষের হাতে অর্থ এলে তারা বিভিন্ন সামগ্রী খরিদে উৎসাহী হবে। চাহিদা বাড়বে। শিল্পগুলি উৎপাদন করতে উৎসাহী হবে। কাজ সৃষ্টি হবে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিও কিছুটা হলেও জীবন পাবে।   এই প্রেক্ষিতে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আসুন দেখে নেওয়া যাক, তার হিসেবনিকেশ। তবে টাকাপয়সার হিসেবে ঢোকার আগে এটা বুঝে নেওয়া দরকার, মুদ্রাস্ফীতি, বাজারদর ইত্যাদি বৃদ্ধির কারণে টাকার দাম কমে। ফলে কোনো একটি খাতে টাকা বরাদ্দের পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও, তা অনেক সময়েই আগের বছরগুলির তুলন