জীবাশ্ম জ্বালানিঃ ব্যবহার বেড়েই চলেছে

১৫১ টি দেশের সরকার কার্বন নির্গমন শূন্যে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিলেও, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছেই


রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ সংস্থার (ইউএনইপি) একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও বিশ্বে ২০৩০ সালের মধ্যে এর উৎপাদন দ্বিগুণ হতে পারে। ১৫১ টি দেশের সরকার কার্বন নির্গমন শূন্যে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিলেও, জীবাশ্ম জ্বালানির উত্তোলন বেড়েই চলেছে। এর ফলে মানব জীবন এবং বিশ্বে জলবায়ু বদলের প্রভাব দ্বিগুণ হবে। ­

স্টকহোম এনভায়রনমেন্ট ইনস্টিটিউট (এসইআই), ক্লাইমেট অ্যানালিটিক্স, ইথ্রিজি, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট (আইআইএসডি) এবং রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি)’র প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে, দেশগুলিকে ২০৪০ সালের মধ্যে কয়লা উৎপাদন এবং তার ব্যবহার প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া ২০২০ সালের তুলনায়, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ জীবাশ্ম তেল ও গ্যাস উত্পাদন কমানোর কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত ২০টি দেশের মধ্যে ১৭টি, নেট-জিরো বা কার্বন নির্গমন শূন্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে – এবং জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন সীমিত করে, নির্গমন কমানোর জন্য কর্মসূচিও চালু করেছে। কিন্তু কোনো দেশই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত করার জন্য ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সীমার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কয়লা, তেল ও গ্যাস উৎপাদন কমানোর প্রতিশ্রুতি দেয়নি। দুই বছর আগে গ্লাসগোতে ২৬তম কনফারেন্স অফ পার্টিস (কপ-২৬)-এ এই জ্বালানির উত্তোলন কমানোর জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। রাষ্ট্রসংঘের মতে, জীবাশ্ম জ্বালানির যুগ শেষের পথে। তাই দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত কপ ২৮-এ সরকারগুলিকে সময় ধরে এই জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করার অঙ্গীকার করতে হবে। আর বিকল্প হিসেবে, বারবার ব্যবহার করা যায় এমন শক্তি ব্যবহার বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।

নভেম্বর - ২৩, ২৯-৩৩, জলবায়ু বদল, জীবাশ্ম জ্বালানি 

Comments

Popular posts from this blog

রক্তচাপ কমায় টম্যাটো

সার থেকে ক্যান্সার

আচ্ছে দিন