ফসলে দাম নেই

সবুজ বিপ্লবের ক্ষতিকর ফলাফল থেকে বাঁচতে ফসল বৈচিত্রকরণের সিধান্তেও কোনো কাজ হচ্ছে না 

প্রচুর জলের চাহিদা সম্পন্ন ধান-গম চাষের চক্র ভাঙতে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব সরকার ভুট্টা, তুলো, সূর্যমুখী এবং মুগ জাতীয় ফসলের চাষকে উত্সাহিত করছে। কিন্তু এসব ফসলের সঠিক দাম না পাওয়ায়, সরকারের শস্য বহুমুখীকরণের এই পরিকল্পনা সফল হচ্ছে না। এনিয়ে রাজ্য দুটির চাষিরা সূর্যমুখীর বীজের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (বা এমএসপি) কুইন্টাল প্রতি ৬৪০০ টাকা করার জন্য আন্দোলনও কছে। খোলা বাজারে প্রতি কুইন্টাল এই বীজের দাম চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।

একইভাবে, মুগের সহায়ক মূল্য প্রতি কুইন্টাল ৭,৭৫৫ টাকা হলেও, চাষিরা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ৬ হাজার টাকা দরে। চাষিদের কথা অনুযায়ী, পাঞ্জাবে ভুট্টার দাম সহায়ক মূল্যের থেকে এক হাজার টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ২০২২-২৩ সালের বিপণন মরসুমের জন্য কুইন্টাল প্রতি ভুট্টার দাম ধার্য হয়েছে ১৯৬২ টাকা। হরিয়ানায়ও, দাম এমএসপির থেকে ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে এবং কৃষকরা প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

পাঞ্জাবে গম ও ধানের আওতাধীন মোট জমি যথাক্রমে ৩৫ লাখ এবং ৩০ লাখ হেক্টর। প্রকৃতপক্ষে, অন্যান্য ফসলের কম দাম পাওয়ায়, নিশ্চিত দামের জন্য বেশিরভাগ চাষিরা গম এবং ধানই চাষ করে। কৃষি নীতি বিশেষজ্ঞ দেবিন্দর শর্মা বলেছেন, কৃষকরা ধান ফলানো লাভজনক বলে মনে করে। তাই এর এলাকা বাড়ছে। শস্য বহুমুখীকরণের প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত কাজ করেনি। তিনি আরো বলেন, আমরা যদি আমাদের মাটির নিচের জল এবং বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে চাই, তাহলে প্রাকৃতিক ব্যবস্থার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আমাদের চাষ করতে হবে। এজন্য যেসব কৃষক ধান, গম ছেড়ে বৈচিত্রময় ফসল চাষ করবে, তাদের জন্য সরকারকে সব রকম সাহায্য করতে হবে। কারণ এই চাষ ভবিষ্যতের জন্য। সরকারের উচিত এ নিয়ে এখনই একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করা। 

অগস্ট - ২৩, ২৯-১২, কৃষি, অর্থনীতি

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ