অন্য মণিপুর

মণিপুরের বাঁশের তৈরি সামগ্রীর চাহিদা বাড়ছে 


মণিপুরের চান্দেল জেলার খুরিংমুল গ্রামের তাবিথা, মণিপুরের তারো বা তারাও উপজাতির একজন নারী। তাবিথা একজন দক্ষ কারিগর এবং উদ্যোক্তা যিনি দারুন সব বাঁশের সামগ্রী তৈরি করেন। ঝুড়ি, মাদুর ইত্যাদি থেকে আয় তার পরিবারের জীবিকার প্রধান উৎস। তার দুটি ছোট ছেলে আছে যারা স্কুলে পড়ে এবং তার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে এই শিল্পকর্ম শিখেছিলেন তাবিথা। আগে তিনি এই সব সামগ্রী তৈরি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতেন। তার কাজ দেখে আগ্রহী হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইনের (এনআইডি) বিশেষজ্ঞরা। তাদের সাহায্য তিনি তাঁর তৈরি সামগ্রী যেমন ফার, রুওপোক, বুককাং, লুকপাক, লুকটং এবং পিশেপের মতো সব ঐতিহ্যবাহী মণিপুরি পণ্য নতুন রূপে তৈরি করতে শুরু করেন। এনআইডি তার তৈরি সামগ্রীগুলি তার রাজ্যের বাইরে বিক্রির জন্যও সহায়তা করে।

২০১৭ সালে তার গ্রামে ৩৫ জন মহিলার সঙ্গে মিলে একটি সমবায় তৈরি করেন। এদের সবাইকে তাবিথা এবং এনআইডি সামগ্রীগুলি নতুন ডিজাইন করতে সাহায্য করে। তারো ভারতের সব থেকে ছোট উপজাতি সম্প্রদায়। এরা বহুদিক আগে বার্মা থেকে এসে মণিপুরে বসবাস করতে শুরু করে। এদের বাঁশের তৈরি সামগ্রীগুলি এখন দিল্লি, কর্নাটকের মহীশূর, উত্তর কেরালা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে বিক্রি হয়। বর্তমানে এই কারিগরেরা মাসে গড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আয় করে।

এখন বড় বিক্রেতারা তাদের থেকে পণ্যগুলি নেয় এবং প্রায় পাঁচগুণ বেশি দামে বিক্রি করে। তাবিথা এবং তাদের সমবায় সরাসরি ক্রেতাদের বিক্রি করার জন্য নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তারা মনে করে, সামগ্রীগুলি সরাসরি বিক্রি করতে পারলে তাদের আয় ৩-৪ গুণ বাড়বে। 

অগস্ট - ২৩, ২৯-১৭, হস্তশিল্প, ব্যবসা

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ