সবুজবাস

দিল্লির একটি ভবন ভারতের প্রথম পাঁচতারা ‘সবুজ’ আবাসনের স্বীকৃতি পেয়েছে৷ ‘গ্রিন ওয়ান’ নামের ভবনটিকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলেছেন স্থপতি নীলাঞ্জন ভোয়াল। বড় বড় জানালার দৌলতে ঘরে অনেক আলো বাতাস ঢোকে আবাসনের ঘরগুলিতে৷ ভারতে অপেক্ষাকৃত নতুন ‘ডবল গ্লেজিং’ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ভবনটিকে ইনসুলেট বা কুপরিবাহী করা হয়েছে। ফলে গ্রীষ্মকালের তীব্র গরম সত্ত্বেও বাড়ির ভেতরটা ঠাণ্ডা থাকে৷

ভবনটিতে বৃষ্টির জল ধরে রেখে আবাসিকদের প্রায় ৭৫ শতাংশ জলের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। এছাড়া সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোয়াল বলেন এভাবে নির্মাণের ব্যয় বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে আখেরে লাভ হয়৷ কারণ এই ধরনের নির্মাণে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি খরচ হলেও, পাঁচ বছরের মধ্যে তা উসুল হয়ে যায়। তারপর কার্যত বিনামূল্যেই সবকিছু চলে৷ স্থপতি ভোয়ালের মতে, এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ সমৃদ্ধ হয়।

নীলাঞ্জন বলেন, সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা হলো, গ্রিন হোম আসলে অনেক সবুজ গাছভরা একটা বাড়ি। প্রচুর গাছপালা, ঘাস লাগালেই বাড়িটি সবুজ হয়ে গেল তা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়৷ সবুজ আবাসন তখনই পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে, যখন প্রকৃতিকে শ্রদ্ধা করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য সম্পদ ব্যবহার করা হয়। জঞ্জাল কম ফেলা হয়। আর মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমানো হয়। এই স্থপতি বর্তমানে কার্বন নির্গমহীন আবাসন তৈরির পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। বর্তমানে ভারতে প্রায় ১৪ লাখ আধুনিক ‘সবুজ’ ভবন রয়েছে, যা আবাসন ক্ষেত্রের মাত্র পাঁচ শতাংশ ৷ আগামী দুই বছরের মধ্যে সংখ্যাটি দশ শতাংশ হতে পারে বলে স্থপতিরা আশা করছে। এর মধ্যেই কিছু রাজ্য সরকার পরিবেশবান্ধব নির্মাণ পদ্ধতির ক্ষেত্রে ছাড় দিতেও শুরু করেছে৷

জানুয়ারি - ২১ ২৬-০২, পরিবেশ, আবাসন

Comments

Popular posts from this blog

লিঙ্গসাম্যের দিকে এগোচ্ছে দেশ

পারম্পরিক জ্ঞানের তথ্যায়ন

দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গ